![website logo](https://www.jagonarsingdi24.com/webimages/logo.png)
হলধর দাস : নরসিংদী সদর উপজেলা পর্যায়ে বার্ষিক ৪৯তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারীগরি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা সমিতির গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২২ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, উপজেলা একাডেমিক শিক্ষা অফিসার খাদিজাতুল কুবরা, সাটিরপাড়া বালিকা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার, স্বাগতিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুম বিল্লাহ, নরসিংদী আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মনজিল এ মিল্লাত, সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন ভূইয়া, বাদুয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, চরদিঘলদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বালিকা দলের ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ছফুরা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দল। রানার আপ হয় নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দল।
হ্যান্ডবল বালিকা দলের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে মাধবদী গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজ দল। রানার আপ হয় নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দল।
বালিকাদের কাবাডি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দল। রানার আপ হয় ব্রাহ্মন্দী গার্লস হাই স্কুল দল।
বালকদের ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে মতিউল্লা ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় দল। রানার আপ হয় বাদুয়ারচর কাজী আবুল হাসেম উচ্চ বিদ্যালয় দল।
বালকদের হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে মাধবদী সতী প্রসন্ন ইনস্টিটিউশন দল। রানার আপ হয় সাটিরপাড়া কালীকুমার ইনস্টিটিউশন স্কুল দল।
বালকদের কাবাডি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে সাটিরপাড়া কালীকুমার ইনস্টিটিউশন স্কুল দল। কাবাডি প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয় মাধবদী সতী প্রসন্ন ইনস্টিটিউশন দল। প্রতিযোগিতায় মোট ৬৪টি ইভেন্টে ৬০টি বিদ্যালয় এবং ২০টি মাদ্রাসার প্রায় আটশত শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, নরসিংদীতে সাঁতার প্রতিযোগিতার জন্য উপযোগী কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। প্রতিযোগী উপস্থিত হয়েও পুকুরের পানি ভাল না হওয়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেনি।
দেখা যায় যে, সাঁতার প্রতিযোগিতায় বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে সব ইভেন্টেই প্রতিযোগী মাত্র একজন বা দুই জন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক সকলের দাবী নদীমাতৃক এ বাংলাদেশে সাঁতার শিক্ষায় আমরা পিছিয়ে থাকতে চাইনা। নরসিংদীতে একটি সুইমিং পোল প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।