শেখ মানিক: একবেলা খাবার জুটলেও অন্যবেলা না খেয়েই পার করতে হত। সেই দরিদ্রতার প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে নরসিংদীর শিবপুরের মাহমুদুল হাসান অনিক খুলনা মেডিকেলে ভর্তির চান্স পেয়েছে। সে উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের ছেলে।
অনিক এবছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২ হাজার ১৪০তম হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার চান্স পেয়েছেন। স্কোর ২৭২.৭৫ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে অনিকের। তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্রতা।
মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগের খবরে আনন্দের জোয়ার বইছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্ণমালা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকদের মাঝে।
বাঘাব ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেলেও গোল্ডেন না আসায় মন ভেঙে যায় তার। অনিক বর্ণমালা আইডিয়াল কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় এইচএসসিতে জিপিএ-৫ গোল্ডেন পেয়েছেন।
সহায় সম্বল না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মৌসুমি ফলের ব্যবসা করেন অনিকের বাবা আলমগীর। মা মৃত ৪ সদস্যের পরিবারের মধ্যে সে দ্বিতীয় ছেলে। বড় বোন নার্সিং এ পড়াশুনা করছেন আর ছোট ভাই ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
বর্ণমালা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, শিক্ষকদের অনুপ্রেরণার পাশাপাশি তার দৃঢ় মনোবলে এতদূর এগিয়ে গেছে সে। আমরা তার সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা করছি।
বর্ণমালা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শাহীন আলম বলেন,আমরা শুধু ওর প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করেছি। দারিদ্র ও হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য অনিক একটি অনুকরনীয় ও আলোকিত দৃষ্টান্ত। আমরা সবার কাছে অনিকের জন্য দোয়া চাই সে যেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে।
মাহমুদুল হাসান অনিক জানায়, শিক্ষক ও স্বজনদের উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, ও সহযোগিতায় আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমি মহান সৃষ্টি কর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি।