হলধর দাস।। নরসিংদীর নজরপুরে চাঞ্চল্যকর গলাকেটে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়াসিন(২৫)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১, সিপিএসসি, নরসিংদী এর একটি চৌকস অভিযানিক দল কর্তৃক বুধবার (৯ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩ টায় নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন করিমপুর দক্ষিনপাড়া তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কৃত আসামী ইয়াসিন নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন নজরপুর গ্রামের মোঃ হারুন মিয়া পুত্র। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ০১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য , গত মঙ্গলবার(০৮ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে নজরপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পতিত জমিতে এলাকাবাসী একটি মৃতদেহ দেখতে পায়। পবরর্তীতে সকাল ৯টার দিকে নরসিংদীর সদর থানা কর্তৃক গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত ব্যক্তি হলেন, নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন নজরপুর গ্রামের মৃত হাশেম মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৩৭)। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্বের সাথে উক্ত ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে।
পরিচয় শনাক্তের পরপরই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের তদন্তে নামে র্যাব । নরসিংদীর নজরপুরে চাঞ্চল্যকর গলাকেটে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ পরে ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে জানা যায় যে দুলাল মিয়ার সাথে ইয়াসিনের জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ছিল।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর প্রধান আসামি ইয়াসিন তার এক আত্মীয়ের বাসায় সপরিবারে আত্মগোপনে ছিল। নরসিংদীর র্যাব- ১১ দ্রুততার সাথে পলাতক ইয়াসিনের অবস্থান শনাক্ত করে উক্ত এলাকার চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে।
আসামীরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো ঐঅস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে দুলাল মিয়াকে হত্যা করে বলে জানা যায়। খুনে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত আসামীকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা যায়, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
নরসিংদী জেলায় সংগঠিত হত্যা, মাদক, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীসহ সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধ রুখে দিতে র্যাব-১১ অভিযান আরও জোরদার করেছে।