স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদী সদরের বাসাইল এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত আলমগীর মোল্লার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ লিজন মোল্লাকে রোববার (১২ জুন) গ্রেফতার করেছে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ তালুকদার পিপিএম(বার)সন্ত্রাসী লিজন গ্রেফতার হয়েছে নিশ্চিত করে বলেন, লিজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী- ডাকাতি-চাঁদাবাজী সহ ৭/৮ মামলা রয়েছে। আজকেও (১২ জুন) তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে সন্ত্রাসী লিজন বাসাইল এলাকায় প্রতিষ্ঠিত " নরসিংদী জনপ্রিয় হাসপাতাল" এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন (মামুন)-এর নিকট চাঁদা দাবী করে। গত ৩১ মে রাত ১০টায় লিজন মোল্লা ৫/৬ জন সন্ত্রাসীসহ হাসপাতালে অনধিকার প্রবেশ করে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।
চাঁদা না দিলে হাসপাতাল চালাতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে হাসপাতাল থেকে বের হলে
মারধর করবে বলেও হুমকি দেয়। পরে হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের মালিক আনোয়ার হোসেনের মধ্যস্থতায় তার হাতে দশ হাজার টাকা প্রদান করে।
পরদিন ১ জুন সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী লিজন পুনরায় ৫/৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীসহ হাসপাতালে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনকে মারধর করে পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং বিশ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে আর কোন দিন আসবে না বলে চলে যায়। বিষয়টি নরসিংদী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানালে তিনি এ বিষয়ে চুপ থাকতে বলেন।
সাবেক পুলিশ সদস্য পুত্র মামুন তার অভিযোগ পত্রে আরো বলেন, এলাকার এ জনপ্রতিনিধি গত ৪ জুন লিজন মোল্লাকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে এসে আরো দশ হাজার টাকা নিয়ে তার সাথে মিলিয়ে দিয়ে আর কোনদিন হাসপালাতে আসবে না বলে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে ৫ জুন আবার হাসপাতাল বন্ধ করে দিবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে সন্ত্রাসীরা।
বিষয়টি কাউন্সিলর পারভেজকে জানালে তিনি আরো ২০ হাজার টাকা দিতে বলে। কাউন্সিলরের কথা মোতাবেক গত ৬ জুন হাসতালের ম্যানেজার সবুজের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। মোট ৬০ হাজার টাকা দিয়েও শান্তিতে ব্যবসা চালাতে পারছে না মামুন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরূপায় হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ রবিবার (১২) দুপুরের দিকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ লিজন মোল্লাকে গ্রেফতার করে। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে করেছেন।