স্টাফ রিপোর্টার: ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে অবসর গ্রহণের পরও সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে অবৈধ পদে নিয়োগ লাভ করে বিদ্যালয়ের তহবিল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাটিরপাড়া কালী কুমার ইনস্টিটিউট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোঃ নূর হোসেন ভূঞার বিরুদ্ধে । আর তাকে বুঝে/না-বুঝে সহযোগিতা করছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডির সভাপতি স্বয়ং। তাকে সহযোগিতা করতে গিয়ে মাউসি কর্তৃক কারণ দর্শানোর নোটিশও পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিং বডি ।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহল,এলাকাবাসী, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই দুর্নীতিবাজ নূর হোসেন ভূঞা'র দ্রুত অপসারণ চায়।
জানা যায়, গত ১৬/১/২০২৩ তারিখে ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় বিধি মোতাবেক চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন নূর হোসেন ভূঞা ।
কিন্তু ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাটিরপাড়া কালী কুমার ইনস্টিটিউট স্কুল এন্ড কলেজ এর গভর্ণিং বডি'র সভাপতিকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আরও পাঁচ বছর কালের জন্য বিধি বহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল থাকার পায়তারা শুরু করেন তিনি। গভর্ণিং বডি সাত/পাঁচ না বুঝেই মাসিক ৫০,০০০/=টাকা সম্মানী ভাতায় অবসর পরবর্তী তিন মাসের জন্য নূর হোসেন ভূঞাকে Rector হিসেবে নিয়োগ দান করেন- যা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের(স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১এর পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী।
গত ৩০/০৪/২০২৩ তারিখে ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.০৩৪.২০২৩-৯৬৮ নং স্মারকে গভর্ণিং বডি'র সভাপতি বরাবর লিখিত এক চিঠিতে মাউশি'র সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, এসএমসি'র সিদ্ধান্তে দেখা যায় যে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ নূর হোসেন ভূঞাকে মাসিক ৫০,০০০/=টাকা সম্মানীতে পরবর্তী তিন মাসের জন্য Rector হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়। যা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের(স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১এর পরিপন্থী।
এমতাবস্থায় কোন বিধি মোতাবেক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ নূর হোসেন ভূঞাকে মাসিক ৫০,০০০/=টাকা সম্মানীতে পরবর্তী তিন মাসের জন্য Rector হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়েছে এ বিষয়ে আগামী ০৭(সাত) কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমেে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, নূর হোসেন ভূঞা'র বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে- কোচিং বাণিজ্য; গভর্ণিং বডির অনুমতি বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে মাহবুবুল হক নামের এক ব্যক্তিকে খন্ডকালীন গণিত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া; বিশেষ চাহিদা পূরণ করতে স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ে এবছর এইচএসসি সেন্টার নিয়ে আসা; অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি বড় জাম গাছ ও নিম গাছ কেটে ফার্নিচার বানানোর জন্য নিজের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া; বিদ্যালয়ের পুকুরে মাছ চাষ ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে যাওয়া এবং পুকুর থেকে রাতের আধারে গোপনে মাছ ধরে বিক্রি করা।
চারজন খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যক্তিগত আর্থিক স্বার্থে ৭/৮ জন খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাই সাটিরপাড়া কালীকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মোঃ নূর হোসেন ভূঞা'র অপসারণ এখন সময়ের দাবী।
জাগো নরসিংদী টুয়েন্টিফোর ডটকম/হলধর দাস