মো. আবুল কাশেম: শিক্ষায় সমৃদ্ধ হোক আমার বাংলাদেশ”এই স্লোগানকে সামনে রেখে সমাজের হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে জে এন্ড এম ফাউন্ডেশনের পথচলা শুরু হয় দুই বছর পুর্বে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের চরমাধবপুর মদিনাতুল উলুম আলিম মাদরাসার মাঠে মেধাবী, দরিদ্র শিক্ষার্থী ও শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকদের এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের সংবর্ধনা দেয় জে এন্ড এম নামে এ ফাউন্ডেশন ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত এবং পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ২০২৪ এ আলোকবালী ইউনিয়ন থেকে জে এন্ড এম ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত বৃত্তি প্রাপ্ত ২৫ জন শিক্ষার্থী কে ক্রেস্টসহ সনদ, নগদ এক হাজার, এসএসসি তে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০ জন এবং এইচএসসি তে জিপিএ -৫ প্রাপ্ত ৫ শিক্ষার্থী।চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য আলোকবালী ইউনিয়নের ২ জন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
মদিনাতুল উলুম আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার বেনজির আহমেদ এর সভাপতিত্বে নাজমুল হুদা মাস্টারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জে এন্ড এম ফাউন্ডেশন এর পরিচালক লন্ডন এংলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির লেকচারার ডঃ মৌসুমী পারভীন মিতু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ তাইজুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার দিলিপ কুমার রায়,মুক্তার হোসেন খান, এম এ শহিদ হাইস্কুল এর প্রধান শিক্ষক রাসেল মিয়া,আলোকবালী ফুলকলি একাডেমির প্রধান শিক্ষক কাউছার মিয়া,বাখর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদুজ্জামান, মুরাদনগর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান, আলোকবালী আদর্শ একাডেমির প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার, কাজির কান্দি আদর্শ একাডেমির প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন, মুরাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা কাউসার, বকশালীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিতা সুলতানা, হুমায়ূন কবির,কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন,অলি আহমদ, উসমান গনি, দেলোয়ার হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে জে এন্ড এম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লন্ডন প্রবাসী জাফর ইমাম বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, আমার সামান্য এ প্রয়াস যদি জাতি গঠনে সামান্য উপকারে আসে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো,বাল্য বিবাহ বন্ধসহ এলাকার টেটা যুদ্ধ বন্ধের জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।তাই শিক্ষা ক্ষেত্রকেই আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।