স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে তা ব্যাহত করতে আওয়ামী লীগকে অর্থের জোগান দিয়েছিল, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি আলী হোসেন শিশির। মঙ্গলবার তাকে আদালতে উঠানো এবং নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ থেকে নরসিংদীর ১০ জন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতারের পর সদর মডেল থানার ভেতর "জয় বাংলা" স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) থেকে নরসিংদী জেলা জজ আদালতের ৩ নাম্বার গেটে অবস্থান নেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। পরে বেলা ১২টার দিকে তিন নাম্বার গেট থেকে মিছিল সহকারে জেলা আইনজীবী সমিতির গেট পর্যন্ত যায় তারা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহান হায়দার জানায়, জুলাই আগস্টে আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে আলী হোসেন শিশির আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে অর্থের জোগান দিয়েছিল। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের ফান্ড ব্যাংক, তাকে আজকে আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন রকম বিশৃঙ্খলা যেন আদালত প্রাঙ্গণে না হতে পারে সে উদ্দেশ্যে আমরা একত্রিত হয়েছি।
যে সকল আইনজীবীরা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের লোকদের পক্ষের মামলা নিয়ে লড়ছে তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সোহান বলেন, খুনি হাসিনাকে আমরা সরিয়ে দিতে পেরেছি, আপনাদেরকেও সরিয়ে দিতে পারবো।
থানার ভিতর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের জয় বাংলা স্লোগান দেওয়াকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্যে সোহান বলেন, গতকাল পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের গুন্ডারা 'জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছে', আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি যে সকল পুলিশ এই স্লোগান দেওয়াতে মদদ দিয়েছে সেই সকল পুলিশ সদস্যদেরকে প্রত্যাহার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
সোহান আরও বলেন, ছাত্রলীগের যে আগাছাগুলো আছে এগুলো যেন নরসিংদী জেলাতে একটিও না থাকতে পারে, এই জেলায় কোন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য কারোই কোন জায়গা হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে ভাটারা থানা-পুলিশ একাধিক মামলার আসামী শিল্পপতি আলী হোসেন শিশিরকে গ্রেফতার করা হয়। এবং সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের কাঞ্চন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হলে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভিতর তারা "জয় বাংলা" স্লোগান দিতে থাকে।