শেখ মানিক: নরসিংদীর শিবপুরের সাব-রেজিস্ট্রার মিজাহারুল ইসলাম একজন জনপ্রিয় লেখক। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা ৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কলেজ জীবন থেকেই লেখালেখি শুরু করেন।
প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থ সমূহ: মৃন্ময়ী,অবাক জোছনা,সোনালী ডানার পাখি, নক্ষত্র নগর। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শত কবিতা, আমি কবি নই শব্দ শ্রমিক, নৈ:শব্দ্র কাব্য ও নীল জোছনা নামের চারটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ রয়েছে।
নাটকগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—টুইস্ট', 'আমার হৃদয় তোমার', 'ক্ল্যাব্রুম', 'গার্লস ক্লাব ১৮', 'সংসার', 'মহাকাল' ইত্যাদি। বর্তমানে মিজাহারুল ইসলামের লেখা দুটি নাটক প্রচারের অপেক্ষায় আছে। এগুলো হলো- জুয়েল রানার পরিচালনায় "একাত্তরের জননী" ও আনিসুর রহমানের পরিচালনায় 'টু-জি'।
মধ্যবিত্ত সমাজে বেড়ে ওঠা মোঃ মিজাহারুল ইসলামের পৈতৃক নিবাস নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কাউরাট গ্রামে। তার জন্ম ১৯৮৬ সালের পহেলা মার্চ। তিনি সাজেদা আক্তার ও মরহুম সোনা মিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান। নিজ গ্ৰামের কাউরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি।
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মোঃ মিজাহারুল ইসলাম ২০০১ সালে কেন্দুয়া জয়হরী স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৩ সালে কেন্দুয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ২০০৮ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে মাস্টার্স ইন গভর্নেন্স স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০১২ সালে ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও বর্তমানে তিনি শিবপুর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত। তাঁর স্ত্রী উম্মে সালিক রুমাইয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। মোঃ মিজাহারুল ইসলাম ও সালিক রুমাইয়া দম্পতির দুই সন্তান মাহজাবিন সায়র মৃন্মায়ী ও মাধূর্য উচ্ছ্বাস।
কবি ও লেখক মো. মিজাহারুল ইসলাম লেখালেখি প্রসঙ্গে বলেন, 'নিজের ভালোলাগার পাশাপাশি দেশ ও সমাজের জন্যও কিছু লেখার চেষ্টা করছি এবং এই চর্চা অব্যাহত থাকবে।'