স্টাফ রিপোর্টার: "প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই লিখেছেন ৫ বই, করেন সম্পাদনাও!" এই শিরোনামে সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় জাগো নরসিংদী টোয়েন্টিফোর ডটকম এ। এই সংবাদ প্রকাশের পর সেই লেখক ভাইরাল হয়ে গেছেন। এই নিউজটি ১২৬ জন শেয়ার করেছেন।
এছাড়া এই সংবাদ প্রকাশের পর জাতীয় ও আঞ্চলিক আরো ৪টি অনলাইন পত্রিকায় তাকে নিয়ে লেখালেখি করেছেন। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ভাইরাল হয়ে গেছেন।
জানা গেছে, নুরুল ইসলাম নূরচান'র প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই, নেই কোন শিক্ষা সনদ। শিক্ষা গ্রহণ বলতে শুধু 'আদর্শলিপি' বইটি পড়েছিলেন। আদর্শলিপি বই পড়া সেই লেখকের প্রকাশিত গল্প, উপন্যাস ও কবিতার বইয়ের সংখ্যা ৬টি। ইতিমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক পাঁচটি অনলাইন পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে বিস্তারিত খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নূরচান ১ জানুয়ারি ১৯৭৪ সালে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের পেতিপলাশী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত সামসুউদ্দিন এবং মা মরিয়ম বেগম। সে স্থানীয় কালুয়ারকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিছুদিন আসা-যাওয়া করেছেন। কিন্তু বিদ্যালয় ফাঁকি দেওয়ার কারণে পড়াশোনা হয়ে ওঠেনি। বাবা-মা পড়াশোনা জানতেন না । দিনে বাবার সাথে ক্ষেতে খামারে কাজ করার পর রাতে পাশের মৈশাদী গ্রামের সুলতান মিয়ার কাছে 'আদর্শলিপি' বইটি পড়েছেন। তাঁর পড়াশোনা এখানেই শুরু এখানেই শেষ। অথচ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন ব্যাপক কবি ও লেখক খ্যাতি।
নুরুল ইসলাম নূরচান নরসিংদী জেলাসহ দেশের সাহিত্যমোদিদের কাছে ব্যাপক আলোচিত ব্যক্তি। নরসিংদী জেলা প্রশাসক কর্তৃক আয়োজিত মহান একুশে বইমেলায় তার তিনটি গল্প কবিতার বইয়ের ৩০০ কপি বই বিক্রি হয়েছিল।
শিবপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে দুইবার সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে শিবপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হচ্ছে মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন 'সময়ের খেয়া' এবং 'জাগো নরসিংদী টুয়েন্টিফোর ডটকম' নামে দুটি পত্রিকা।
নিরলসভাবে সাহিত্য চর্চা করার কারণে গত ৭ মার্চ তাকে শিবপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তার লেখা গল্প কবিতা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে, প্রকাশিত লেখা পড়ে নরসিংদী জেলাসহ সারাদেশে একটি নিজস্ব পাঠক বলয় তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১০ সালে কবি খান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০১০ এবং বিদ্যাবাড়ি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ সহ তিনটি সম্মাননা পেয়েছেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো, ১. ‘এরই নাম জীবন (উপন্যাস, ১৯৯৭), ২. চেনা পৃথিবী অচেনা মানুষ (উপন্যাস, ২০১০) ৩. বাইশে মাঘ (নির্বাচিত গল্প, ২০১১),৪. হঠাৎ একদিন, ৫. বকুলতলা (গল্প) এবং ‘অবশেষে’ (কাব্যগ্রন্থ, ২০২৪)।
বইগুলো পাওয়া যাচ্ছে : rokomari.com, bd books.com & বইফেরী'তে।
নুরুল ইসলাম নূরচান বলেন, 'আমার লেখাগুলো পড়ে সম্মানিত লেখক- পাঠক গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনা করুক, এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি এগিয়ে যেতে চাই আরো অনেক দূর।'