দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ চকিতে মেলি আঁখি
তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে নির্মাণের বান ডাকে আত্মগভীরে।শৈশবের স্মৃতি কাতরতায় জড়িয়ে থাকা মায়ের আঁচলের গন্ধে বিভোর মগ্নতায় আপনি হারায়।
মনে পড়ে কনকনে শীতে জুবুথুবু শরীরে মায়ের বাহুডোরের সমষ্টি ভরে সেকি ওম জড়িয়ে থাকা পাঁজরের কি সুগন্ধ মলিন ভূষণেও পরম শান্তি।
প্রশান্তির কবলে বিস্তৃতি হারায় স্বপ্নের ভূবণে।
মায়ের আদুর মাখা কোমল স্পর্শের সঞ্জিবনী সুধা মধুময় স্মৃতিগুলো পুঞ্জীভূত আহত মনের কোণে।
নিবিষ্ট চিত্তে ভুলে যাই পঞ্চাশ উর্ধ্ব বয়সের রমনী আমি বিগলিত বদনে আজো আছি উষ্ণ শিহরণে।
ফেলে আসা দিনগুলো পিছু ডাকে অনাহূত পাখির মতো বেকুলতায় বিদীর্ণ করা বসন্ত বেলায় ঝরা
বকুলের গন্ধ শুকে মাতৃগর্বের আস্বাদিত অম্ল বদনে বারে বারে ছোঁয়ে যায় বিস্তৃিত স্মৃতির পাতায়।
ভোরের শিশির ভেঁজা ঘাসের ডগায় স্নিগ্ধ
সুষমায় আঁকাবাকা আল পথে দিশা হারায়।
মনে পড়ে হায় পলাশ আর শিমুলের শাখায়
লালে লালে সারা গাঁয়ে চমক লাগা কুয়াশায়।
চকিতে এই মন ভাবনায় ডুবে যাই শীত বেলায়
ভাই বোন মিলে ঘরের দাওয়ায় বসে সবাই ধুম
পরিত পিঠা খাওয়ায় সূর্য স্নানের উতপ্ত আভায় বর্ষাবেলায় নতুন জলে ডুব সাঁতার খেলায় মেতে।
মৎস্য ধরিবার ছলে অনুক্ষণে নিমগ্ন মনে নদী তটে
মাতিয়া উঠিতাম জলে স্থলে লুটোপুটি করে।
শিকড়ের টান অস্তিত্বের গভীরে নিখাদ অনুভব
ঘুমহীন রাতে বেদনার্ত হৃদয়ে স্মৃতিই কথা বলে।