স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদী রায়পুরার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে টেঁটা ও বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলম ওরফে আলমগীর (২০) নামে একজন নিহত হওয়ার ঘটনার দুই দিন পর থানায় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টায় নিহতের বাবা জহর আলী বাদী হয়ে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকিরকে প্রধান আসামী করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আদিল মাহমুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলম ওরফে আলমগীরের মৃত্যু হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ঘটনার দিন আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলমের বাবা জহর আলীর ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় হামলা চালিয়ে আলমগীরকে ধরে নিয়ে বাঁশগাড়ি ভূমি অফিসের সামনে নিয়ে মারধর করতে থাকে। এসময় হামলাকারীরা আলমগীরের বুকের ডান পাশে গুলি করে। গুলিটি তার বুকের সামনে ঢুকে পিছন দিয়ে বের হয়। এরপরই আহত অবস্থায় আলমগীরকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে জেলা সদর হাসপাতাল নরসিংদীতে প্রেরণ করেন। পরে সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঘটনার দিন দুপুরে হত্যাকাণ্ডের স্থান ও বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান, নরসিংদী জেলা ও রায়পুরা থানা পুলিশের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, রায়পুরার চরাঞ্চল বাঁশগাড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের বিরোধ দীর্ঘদিনের। বেশ কিছুদিন ধরে এলাকাছাড়া ছিলেন আশরাফুল হকের সমর্থকেরা। রোবনার সকাল আটটার দিকে আশরাফুল হকের সমর্থকেরা এলাকায় ঢুকলে রাতুল হাসানের সমর্থকেরা বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও টেঁটা নিয়ে টেঁটাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
.jpeg.webp "বাউল মেলা। ছবি সংগৃহীত")