হলধর দাস: নরসিংদীর হাজীপুরে গত বুধবার(২২ জুন) সন্ধ্যা রাতে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর সুজিত সূত্রধর হত্যার ঘটনায় পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার(২৩ জুন) বিকালে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মামলার মূল হোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো; বার্নিশ মিস্ত্রী মাসুম (২৬), বার্নিশ মিস্ত্রী সোহাগ মিয়া (২৩) ও পাশের দোকানদার শীমুল মাহমুদ (২২)।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহত সুজিত সূত্রধরের ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী সুজন সূত্রধরের ভাষ্যমতে আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করতে দ্রুত সক্ষম হবো।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঘটনার দিন আনুমানিক রাত পৌনে সাতটায় সুজিত সূত্রধর হাজীপুর কাঠবাজারে ‘সুজন টিম্বার ট্রেডার্স এন্ড ফার্নিচার মার্ট’ নামীয় তার নিজ দোকানে অবস্থান করছি। গত এক সপ্তাহ আগে তার দোকানের বার্নিশ মিস্ত্রী মাসুমের সাথে তার ছেলে সুজন সূত্রধর (৩০) এর কথা কাটাকাটি হয়।
সুজন মাসুমকে চর থাপ্পর মারে। এব্যাপারে মাসুম দোকানের মালিক সুজিত সূত্রধরের নিকট বিচার প্রার্থী হয়। সূজিত সূত্রধরও তাকে বিষয়টি মিমাংসা করে দিবে বলে আশ্বস্ত করে। গত বুধবার সন্ধ্যার পর সুজিত সূত্রধরের দোকানে বসে ঘটনাটি মিমাংসা করার কথা ছিল।
সে মতে ঘটনার পূর্ব থেকেই সুজিত সূত্রধর দোকানে অবস্থান করছিল। তখন মাসুমের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১০/১২ জন আসামী তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে ভিকটিমরা সুজিত সুত্রধরকে ধারা অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এসময় তার ছেলে সুজন সূত্রধর (৩০) ও কর্মচারী দ্বীন ইসলাম (৫২) আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর সুজিত সূত্রধরকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গা, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়টি সুজিত সুত্রধরের সাথে বিরোধ চলে আসছিল বলে পুলিশ সুপার জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, সূজিত সূত্রধর নরসিংদী সদর উপজেলা শাখা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সহসভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।