স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর বেলাব উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন অপু ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংঘঠিত সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুরের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলার ঘটনায় বিকেলে থানায় এ লিখিত অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর আসাদ-উজ-জামান।
অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতি সারোয়ার হেসেন অপু, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিকসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ-পূর্বক ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন অপু ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিকের নেতৃত্বে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
ছাত্রলীগ সভাপতি অপু তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে হাসপাতালে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ৫টি সিসি ক্যামেরার তার কেটে দেয়, জানালার গ্লাস ভাংচুর করে, কেচি গেইটের গ্রিল, তালাসহ অন্যান্য মালামাল নষ্ট করে হাসপাতালে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। এতে পুরো হাসপাতাল জুড়ে একটি অরাজকতার সৃষ্টি হলে চিকিৎসা সেবা প্রদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতার ভুগতে থাকে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ঘঠনাস্থল পরিদর্শনে আসেন নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম।
এসময় সিভিল সার্জনের সাথে ছিলেন বিএমএ ও স্বাচিব নরসিংদী'র সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক অপু।
বিএমএ ও স্বাচিব সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হক কমল বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। তিনি আগামীকাল (শুক্রবার) এলাকায় আসবেন। তিনি এসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করি। আমাদের নিরাপদ কর্মস্থল প্রয়োজন। এরকম নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করা কঠিন। তাই আশা রাখবো মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সেই নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দিবেন।
উল্লেখ্য বুধবার (১৬ নভেম্বর) বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়ে মৌন মানববন্ধন করেন। বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন'র অনুরোধে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সচল রাখা হয়। কিন্তু হাসপাতাল বহিঃবিভাগের সেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভির আহমেদ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু অভিযোগপত্রে আসামীদের তথ্য বাকী থাকায় তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। অভিযোগপত্রের সকল তথ্য উপাত্ত সংশোধন করে দেওয়ার পর আমরা মামলা রুজু করবো।