নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশ্বিকভাবে সাধারণত নারীরা যেসকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে জরায়মুখ ক্যান্সার (সার্জিকেল ক্যান্সার) চতুর্থ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতি বছরে বিশ্বে ৬ লক্ষাধিক নারী জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
যারমধ্যে প্রায় তিনলাখ মৃত্যুবরণ করেন। এরমধ্যে ৯০ ভাগ মৃত্যুই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঘটে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল।
দক্ষিপূর্ব দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীরা সবথেকে বেশী এ রোগে মৃত্যুবরণ করেন। এই বিপুল সংখ্যাক মৃত্যু প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা দানের কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে আজ সকালে নরসিংদীর নাসিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমসে মাশিয়া তাসনিম নামে ৫ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে টিকাদানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তফা মনোয়ার ও সিভিল সার্জন ডা: নুরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল ই খোদা, নরসিংদী পৌরমেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু, জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক এএনএম ডা: মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আবু কাউছার সুমন, বিএমও নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক অপুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সের এক লাখ সাতচল্লিশ হাজার মেয়েদের এই টিকা প্রদান করা হবে।
এরমধ্যে ১৫ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের এবং পরবর্তী ৫দিন স্কুলের বাইরের ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এই টিকা প্রদান করা হবে।
জেলায় প্রায় এক লাখ সাতচল্লিশ হাজার শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পাবে এই টিকা৷ আজ প্রথম দিন দেয়া হয় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে।