স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন নিহতের ঘটনার দুইদিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে রায়পুরা থানায় নিহত আমির হোসেন ও বাদল মিয়ার ভাই মো. ইকবাল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে নিহত ফিরোজা বেগমের ভাই এরশাদ মিয়া বাদী হয়ে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরশাদের করা মামলায় হানিফ মিয়া ওরফে হানিফ মাস্টারকে প্রধান আসামী করে আরো ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামী করা হয়। অন্যদিকে ইকবালের করা মামলায় হানিফ মিয়া ওরফে হানিফ মাস্টারকে প্রধান আসামী করে আরো ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামী করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন প্রবীর কুমার ঘোষ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লার বাড়ি ও বালুরচর গ্রামের সাহেব বাড়ির মাঝে সংঘর্ষ হয়। এসময় আইল্লার বাড়ির হামলায় সাহেব বাড়ির ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন, সায়দাবাদ গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে আমির হোসেন (৬৫) ও বাদল মিয়া (৪৫), শাহীন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), বাঘাইকান্দি গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫), আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০) এবং একই এলাকার আসাবউদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক (২৮)।
নিহতের পর সাহেব বাড়ির ফিরোজ মেম্বারের লোকজন আইল্লার বাড়ির হানিফ মাস্টারের লোকজনের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করে প্রতিপক্ষ।
অন্যদিকে নিহতের স্বজনেরা বলছে, তারা নিজেরায় তাদের বাড়ির মালামাল সরিয়ে, বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে আমাদের নাম দিচ্ছে। তারা আমাদের ছয়জন মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা তাদের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে দাফনের কাজে ব্যস্ত।
রায়পুরা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন প্রবীর কুমার ঘোষ জানান, নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে ভাংচুর, লুটপাট এমন কোন খবর আমরা পাইনি।