স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাস ফেরত ব্যক্তি কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামী গ্রেফতারকৃত রবিন (২৬) নামে এক যুবক আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নিজের দোষ স্বীকার করে এমনটাই জানায়। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় গ্রেফতারকৃত রবিন। এর ফলে হত্যাকান্ডের কয়েকঘন্টার মধ্যেই রহস্য উম্মোাচন করতে সক্ষম হয় নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নরসিংদীর মাধবদী থানাধীন মহিষাসুরা এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেফতার করে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রবিন শহরের ব্রাম্মনপাড়া এলাকার মুহাম্মাদ আলি হোসেন'র ছেলে। শুক্রবার বিকেলে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়ার দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো গত বুধবার (৮ নভেম্বর) সোয়া ৯টার দিকে শহেেরর সাটিরপাড়া এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে কামরুজ্জামানকে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে ব্রাহ্মণপাড়া নিবাসী গুরুদাস এর বাড়ীর ছাদে নিয়ে গিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কামরুজ্জামানকে হত্যা করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত হত্যাকারী। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শামসুজ্জান সোহেল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের পর পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম’র নির্দেশে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহীদুল ইসলাম সোহাগ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের পর গটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত আলমত ও কলরেকর্ডের ভিত্তি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার সকালে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী মাধবদী থানাধীন মহিষাসূড়া এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেফতার করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ রবিন হত্যার দায় স্বীকার করে এবং তার দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের বাড়ির পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার গ্রেফতারকৃত রবিনকে আদালতে পাঠানো হলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেয়। সে তার স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে কামরুজ্জামানকে ছরিকাঘাতে হত্যা করেছে একা সে নিজেই। হত্যাকান্ড শেষে পাশের ছাদ বেয়ে সে পালিয়ে যায়। আদালতে দেওয়া জবানবন্দি শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।