• নরসিংদী
  • মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

নরসিংদীর বাজির মোড়ে ২৫ বছর পর খোলা বাজারে বাজি বিক্রি


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৩৪ এএম
নরসিংদীর বাজির মোড়ে ২৫ বছর পর খোলা বাজারে বাজি বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ ২৫ বছর পর স্বরূপে ফিরে এসেছে নরসিংদী শহরের বাজির মোড় নামক এলাকাটি। বুধবার (১০ এপ্রিল) দীর্ঘ ২৫ বছর পর যেন প্রাণ ফিরে প্রায় এই এলাকা। এদিন শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজির মোড় এলাকায় ভাসমান বিক্রেতাদের খোলা বাজারে বাজি বিক্রি করতে দেখা যায় ।

জানা যায়, নরসিংদীতে এক সময় বাজির মোড় এলাকার দোকানগুলোতে হরেক রকমের বাজি সাজিয়ে  নিয়ে বসতো ব্যবসায়ীরা।

এ এলাকার অধিকাংশ দোকানেই পাওয়া যেত বাজি। তাই এই এলাকাটির নামকরণ করা হয় বাজির মোড়। বাজি বিক্রয়ের উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে এ এলাকা থেকে আস্তে আস্তে দোকান গুটিয়ে নেয়। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এ এলাকায় কোন বাজির দোকান বা বাজি কেনা বেচা করতে দেখা যায়নি।

এতো বছর ধরে নরসিংদী শহরের এই বাজির মোড় থাকলেও এ মোড়ের কোথাও মিলেনি বাজি। কিন্তু দীর্ঘদিন পর যেন ঘুম ভাঙ্গে বাজির মোড় এলাকার। বুধবার বাজির মোড়  এলাকা বাজি নিয়ে সরব হয়ে উঠে। এদিন এ মোড়ে বাজি কেনাবেচা করতে দেখতে পায় স্থানীয়রা।

বুধবার ছিলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্ব রাত অর্থাৎ চাঁন রাত। এই দিন সন্ধ্যা ঈদের চাঁদ দেখা যাবার পর  মুসলমান সম্প্রদায়ের শিশু কিশোররা রাজি ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। আর এই চাঁন রাতকে ঘিরেই বাজির মোড় এলাকায় ভাসমান বাজি বিক্রেতারা খোলা বাজারে টেবিল বিছিয়ে হরেক রকমের বাজির পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায়। দুপুরের পর থেকে বাজি ব্যবসায়ীরা এ এলাকায় বাজির দোকান পেতে বসে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এসময় বাজির এই ভাসমান দোকানগুলোতে বিভিন্ন লোকজনকে বাজি কিনতে ফিল করতে দেখা যায়।

তারা বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর এই এলাকার কোথাও বাজি বিক্রি করতে দেখা না গেলেও আজ হঠাৎ বাজির দোকান দেখতে পেয়ে আমরা অনেকটাই অবাক হয়েছি।

এদিকে বাজির দোকান পেতে বিক্রির খবরে বাজির মোড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় বাজিসহ শহরের উত্তর নাগরিয়াকান্দি এলাকার  কালাম মিয়ার  ছেলে পিংকু  ছাড়াও আরও দুই বাজি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) তানভীর আহমেদের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটা রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

পরে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল কে, এম, শহিদুল ইসলাম সোহাগের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে জানেন না। বিষয়টি তিনি জেনে জানাবেন বলে জানায়। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

অর্থনীতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ