শিবপুর সংবাদদাতা: নরসিংদীর শিবপুরে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ভাগিনার হাত ধরে উধাও হয়েছে মামী । উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের ধোপাত্তর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
গত শনিবার (১ জুলাই) পালিয়ে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের ইটাখোলা মুন্সেফেরচর ভাড়া বাসা নিয়ে তারা দুইজনে বসবাস শুরু করেন। এরপর আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করেন।
মামী তানজিনা(১৯) স্বামী কুয়েত প্রবাসী ফারুক মিয়া। সে ধোপাত্তর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে । অভিযুক্ত আপন ভাগিনা একই গ্রামের আমজাদের ছেলে সানী(১৮) স্কুল ছাত্র ও এবার এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে।
ফারুকের শাশুড়ি তানজিনার মা পেয়ারা বেগম মোবাইল ফোনে জানান, আমার মেয়ের স্বামী বিদেশে থাকে। জামাই ফারুক মিয়া বিদেশ যাওয়ার পর থেকে তারই আপন ভাগীনা সানীর বিভিন্নভাবে নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বাড়ীতে চলে আসে তানজিনা।
এখানে আসার পরে সানী ফোন দিতে দিতে অতিষ্ঠ করে ফুসলাইয়া বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় সে। এ সময় ৪ ভরি স্বর্ণ, ৫ ভরি রুপা ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে ওই এলাকার এক মাতাব্ব্বর বকুল মিয়ার সহযোগিতায় খুঁজে বের করি।
তারা আসার পর সানীর বাবা জানান স্বর্ণ অলংকার ওই এলাকার ছেলেপেলেরা আটক করে নিয়ে গেছে। এরপরে আবার বলে স্বর্ণ বিক্রির ৭৫ হাজার টাকা তার কাছে আছে। তবে এই কথা গোপন রাখার জন্য আমাকে বলে। গত ৫ জুলাই বুধবার আমাদেরকে না জানিয়ে, মেয়েকে জোর করে আমাদের দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন মেয়েকে আমাদের নিকট বুঝিয়ে দিতে।
বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় ইউপি সদস্য তাইজুল ইসলাম মেয়েকে স্বামীর বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। আমার মেয়ের সব স্বর্ণ অলংকার আমজাদ ও তার ছেলে সানির কাছে রয়েছে। বিয়ের সময় আমাদের বাড়ী থেকে দেওয়া স্বর্ণ-অলংকার আত্মসাৎ করে মেয়েকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে চায় আমাজাদ। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
দৌলতপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম জানান, তানজিনা কে আমাদের পরিষদের নিয়ে আসে আমজাত। স্বর্ণ অলংকার অস্বীকার করায় বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় আমরা মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়িতে চলে যেতে বলি। আমজাদ হোসেন চাচ্ছিল মেয়েকে বুঝিয়ে তার মা বাবার নিকট পাঠাতে।
এ বিষয়ে জানতে ফারুক মিয়া বাড়িতে গেলে ফারুকের ছোট বোন জানান, বাড়ীতে কেউ নেই, ভাবিকে নিয়ে গেছে চেয়ারম্যানের নিকট, বিষয়টি সমাধানের জন্য। আমার ভাগিনা সানি গত শনিবার দিন বাড়িতে ছিল। রবিবারদিন থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আমজাদ বলেন, আমার ছেলের বিষয়ে যা সত্য তাই লেখেন গিয়ে।