নাসিম আজাদ, পলাশ: পলাশে যুবকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে দুই হাতের কব্জি কাটা দায়ের করা মামলার আসামি ফারুক মিয়া (৩৫) ও জালাল ওরফে শাহজালাল মিয়া (৫৫) নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার ৫-জুলাই ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ফারুক মিয়া শিবপুর উপজেলার মিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত আলফাজ উদ্দিনের ছেলে জালাল ওরফে শাহজালাল মিয়া পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার জানায়, গত ২৮ জুলাই শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাঁও দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে হাদিউল ইসলাম (১৯) কে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে হাতের কব্জি কাটা দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ।
জানা যায়, অন্যান্য আসামীরা হাদিউলকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের কালুর বাড়ি সংলগ্ন মো. শহিদুল এর কলাবাগানে নিয়ে হাদিউলের হাত, পা ও চোখ বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ।
এক পর্যায়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হাদিউলের দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে হাদিউলের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ হাদিউলকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় আহত হাদিউলের পিতা মোর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে গত ২ জুলাই ৪ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত জালাল ওরফে শাহজালাল মিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও খুনসহ ১২টি মামলা বিচারাধীন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।