হলধর দাস: অজ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক পরস্পর যোগসাজশে নিয়ন্ত্রণে বা দখলে রেখে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার প্রচেষ্টা চালানোর অপরাধে সাবেক কর পরিদর্শক(সার্কেল-১২) আবু হাসান মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লাকী রেজওয়ানার বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন কমিশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নরসিংদী ও গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
দুদক সজেকা গাজীপুর এর মামলা নং-০৩, তারিখ: ৩০/০৪/২০২৩ খ্রি.ধারাঃ দুর্নীতিদমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ১নং আসামী মিসেস লাকি রেজওয়ানা দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ৪৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক কমিশনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং ঘুস/দুর্নীতির মাধ্যমে আয়ের অবৈধ উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্যে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ বা ছদ্মাবৃত করার অসৎউদ্দেশ্যে জ্ঞাতসারে স্থানাস্তর/রূপান্তরের মাধ্যমে মামলার প্রধান আসামী মিসেস লাকী রেজওয়ানার নামে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৭৭ টাকাার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক পরস্পর যোগসাজশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার প্রচেষ্টা চালানোর অপরাধে তারা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা তৎসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধী।
মিসেস লাকী রেজওয়ানা'র নামে একটি ব্যাংকে চল্লিশ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে যার বৈধ আয়ের কোন উৎস পাওয়া যায়নি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও সাবেক এই কর পরিদর্শক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার কোটামনি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আবু হাসান মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম চাকুরীকালে ৫টি স্থানে ২০ শতক জমি নিজ নামে খরিদ করেছেন।
এই জমি ছাড়াও তিনি উত্তরা আবাসিক এলাকাসহ আটটি স্থানে প্রায় দেড় একর ভূমি ও ফ্লাটবাড়ি ক্রয় করেছেন; যেগুলো ক্রয়ে টাকা বিনিয়োগের যথার্থ বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
তার অবৈধ স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৩০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার সমপরিমান বলে উল্লেখ রয়েছে।
জাগো নরসিংদী/স্টাফ রিপোর্টার