স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরার মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক হত্যার ঘটনায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলাটি করেন।
মানিক হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মরম আলী নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য। এর আগে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত মানিক মির্জাচর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিব মিয়ার ছেলে। তিনি টানা দুই বার মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন মো. ফিরোজ মিয়া। তাঁর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন জাফর ইকবাল মানিক।
এরই জেরে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকা ছাড়া ছিলেন ফিরোজ সমর্থিত লোকজন। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুটি পক্ষ বৈঠক করে। সমঝোতা না মেনে সভা থেকে উঠে যায় ফিরোজের লোকেরা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে শান্তিপুর স্কুল মাঠে যান মানিক। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে প্রতিপক্ষ দলের সন্ত্রাসীরা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মীর মাহবুব জানান, 'চেয়ারম্যান মানিক হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।'