স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় প্রসাধনী ও ঔষধ জাতীয় বিভিন্ন পন্য বোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় মো. সাদেক (৪৫) নামে কার্ভাড ভ্যানের চালকের এক সহযোগীকে আটক করা হয়। আটককৃত ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্যের আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামসুল আরেফীন এ তথ্য জানান।
এরআগে রবিবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নারায়নপুর এলাকার লাল মিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে কাভার্ড ভ্যানসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটককৃত চালকের সহযোগী সাদেক সিলেটের জৈনত্যাপুর উপজেলার চিকনাগোল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি গ্রামের মছন মিয়ার ছেলে। তার বাবাও পেশায় একজন ড্রাইভার।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামসুল আরেফীন জানান, রবিবার রাতে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম শিবপুর উপজেলার মুনসেফেরচর এলাকার ইটাখোলা মোড়ে অবস্থান করছিল।
এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সিলেট থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান বিপুল সংখ্যক ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী কর ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক হয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের ওই টিমটি মহাসড়ক ধরে ভৈরবের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
ডিবি পুলিশের টিমটি রায়পুরা উপজেলার নারায়নপুর এলাকার লাল মিয়ার ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছলে একটি কাভার্ড ভ্যানকে দাঁড়ানো দেখতে পায়। এসময় কাভার্ড ভ্যানের ভিতরে কি আছে চালককে জিজ্ঞেস করলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে চালকের সহযোগী সাদেকসহ কার্ভাডভ্যানটিকে আটক করে নরসিংদী ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি জানিয়েছে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ওই সকল প্রসাধনী ও ঔষধ জাতীয় পন্য সিলেটের সীমান্ত এলাকা থেকে ঢাকার চকবাজারে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। তবে এসকল প্রসাধনী সামগ্রী ও ঔষধ জাতীয় পন্যের কোন চালান কপি বা রশিদ দেখাতে পারেনি আটককৃত ব্যক্তি। আটককৃত ভারতীয় এসকল প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কাভার্ড ভ্যানসহ আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা হতে পারে।
নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, আমরা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া পণ্য উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এরআগে ৭০ লাখ টাকার শুল্ক ফাকিঁ দেওয়া ভারতীয় পণ্যসহ দুইজনকে আটক করা হয়। রবিবারের অভিযানেও এক কোটি টাকা মূল্যের উপরে পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যহত থাকবে। আর আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে।