হলধর দাস: হারুন ওরফে বাবুল (৩৫) নামে এক ভূয়া পুলিশকে আটক করেছে নরসিংদ সদর থানা পুলিশ। শনিবার(২৯ জুন) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগর জেলখানা মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত হারুন ওরফে বাবুল জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার বাগমারী গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। সে নিজেকে সাভারের আশুলিয়া হাইওয়ে পুলিশ উপপরিদর্শক হিসেবে পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে বিভিন্ন প্রতারণা করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ৬ জুন বৃহস্পতিবার জেলা শহরের জেলখানা মোড়ের হলি লাইফ হাসপাতালে এক নারীকে নিয়ে এসে প্রতারণা করে তার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় ভূয়া পুলিশ হারুন। তার ওই ব্যাগে নগদ ১৫ হাজার টাকা, ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও তার ব্যবহৃত সীমসহ একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ছিল। পরে ওই নারী কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা থেকে তার ছবি স্থানীয় সাংবাদিকদের সরবরাহ করে।
শনিবার নরসিংদী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রাজু বাড়ি থেকে জেলখানার মোড়ে আসলে তিনি প্রতারক ও ভূয়া পুলিশ হারুনকে দেখতে পান। পরে তিনি দায়িত্বরত নরসিংদী ট্রাফিক পুলিশের টিআই আবুল বাসার আকন্দ, সার্জেন্ট শামীম আহমেদ এবং এটিএসআই মো. মোস্তফা কামালের সহায়তায় তাকে আটক করে। পরে তাকে হলি লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষও তাকে চিহ্নিত করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারনার কথা স্বীকার করে।
সে জাানায় তার গায়ে পরিহিত পোশাকটি ঢাকার কল্যাণী মার্কেট থেকে কিনেছে। সে সাত মাস যাবৎ বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা লুট করার কথা স্বীকার করে।
এই সময় তার কাছ থেকে একটি লেজার লাইট একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নরসিংদী সদর মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, 'পুলিশ পরিচয় দেয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।'