রায়পুরা প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরার মেঘনা নদী থেকে অবৈধ চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে ১টি ড্রেজার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় মো. রাজিব মিয়া নামে ওই ড্রেজারের ড্রেজার পরিচালককে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টায় উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের শাহারখোলা এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজারটি জব্দ করা হয়।
আটককৃত ড্রেজার পরিচালক রাজিব মিয়া বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর এলকার হুমায়ুন মিয়ার ছেলে ।
ড্রেজারের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বালু উত্তোলন বন্ধসহ ড্রেজার জব্দ রাখার নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, জেলা প্রশাসক কর্তৃক ইজারা ভুক্ত নির্ধারিত স্থান কাতলারচরে বালু উত্তোলন না করে শাহারখোলা ও আব্দুল্লাহচর এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধ চুম্বক ড্রেজার দ্বারা বালু উত্তোলন কালে ড্রেজার জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। পরে আটককৃত ড্রেজার পান্থশালা ঘাটে জব্দ করে রাখা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পাই মেঘনার কাতলারচর এলাকায় ইজারাকৃত এলাকা ব্যতিত শাহারখোলা এলাকায় অবৈধ চুম্বক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এমন সংবাদে ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকটি ড্রেজার সড়ে যায়। আমরা কেবল মাত্র একটি ড্রেজার জব্দ করতে সক্ষম হই। এ সময় ১ জনকে আটক কর। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করি। আটককৃত ড্রেজার পান্থশালা ঘাটে জব্দ করে রাখা হয়। ইজারাদারদের বলে দিয়েছি যতক্ষন পর্যন্ত তারা নির্ধারিত স্থান থেকে চুম্বক ড্রেজার সরিয়ে কাটিং মেশিন না ব্যবহার করবে ততক্ষন পর্যন্ত বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ড্রেজারটি জব্দ রাখার নির্দেশ দেই।