হলধর দাস: নরসিংদী মুছলেহউদ্দিন ভূঞা স্টেডিয়ামে ডেভেলপমেন্ট কাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৫ খেলোয়ার বাছাই প্রতিযোগিতা ও মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি((সোমবার)
প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি
নরসিংদী'র জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
ড. বদিউল আলম । এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মোস্তফা মনোয়ার,জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি মোস্তফা মিয়া,সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম ভূঞা শাহিন, যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভূঞা,কার্যকরী সদস্য আনিসুর রহমান ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ও জেলা ক্রীড়া অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার ফারজিন আক্তার মুমু।
আমরা নরসিংদী থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়ার সাপ্লাই দিতে পারি সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশেষ করে সাঁতার,অ্যাথলেটিকস ও ফুটবল এই তিনটি ইভেন্টে জাতীয় পর্যায়ে যেন নরসিংদী নরসিংদীর সন্তানরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই আজকে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের শুরু হতে যাচ্ছে। যারা একাজে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা প্রশিক্ষক আছেন, আমি আশা করি তারা আন্তরিকতার সহিত মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। আপনাদের ভাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একেকজন দেশসেরা ক্রীড়া তারকা হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারবেন। আমি আশা করতে পারি যে, নরসিংদী থেকেও একদিন বিশ্বসেরা সাতারু,অ্যাথলেট ও ফুটবলার বেড়িয়ে আসবে। স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই। স্বপ্ন দেখলেই তা বাস্তবায়ন হয়ে যায় অনেকক্ষেত্রে। দুর্গম বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ের সুউচ্চ লামা পাহাড়ের মধ্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন একটি খুলেছে। সেই স্কুলের ছাত্ররা সারা বাংলাদেশের মধ্যে ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেছে। জাতীয় পর্যায়ে প্যারোডিতে কয়েক বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেখে চলছে। সেই কক্সবাজার স্কুল ৮ কোটি টাকা খরচ করে বিশাল ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরী করেছে।
তাদের স্বপ্ন সামনের অলিম্পিকে জিমনাস্টিকে স্বর্ণ জিতে আনা। আমি তাদের প্রশ্ন করলাম এটা কি সম্ভব? এটা একটু বেশি বাড়াবাড়ি নয় কি? তারা বললেন, এটা অবশ্যই সম্ভব। এটা কোন বাড়াবাড়ি নয়। তারা বললেন চার বছর বয়স থেকে একটা বাচ্চাকে আট বছর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর গোল্ড মেডেল পাওয়া কঠিন কোন কাজ নয়। এর জন্য আমার আশি বছরের পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যে তারা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত যুব অলিম্পিকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে রৌপ্য পদক অর্জন করেছে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তারা কৃতিত্ব অর্জন করেছে। তাই আমি বলতে চাই যে, স্বপ্ন দেখা এবং বাস্তবায়ন করা সম্ভব। একটা স্কুল যদি এমন স্বপ্ন দেখতে এবং বাস্তবায়ন করতে পারে তো আমাদের দ্বারাও এটা সম্ভব। নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিজের জাতিকে ক্রীড়ার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে সকলের আন্তরিকতা একান্ত কাম্য।