স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর আলোচনা ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বৈরাচার পতনোত্তর বাংলাদেশ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনামূলক রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে নরসিংদী জেলা বিএনপির চিনিশপুরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এ আলোচনা ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন'র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জাম রিপন।
নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মন্জুর এলাহীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমএ জলিল, এড. আব্দুল বাছেত, আকবর হোসেন, বিজি রশিদ নওশের, শহর বিএনপির সভাপতি একেএম গোলাম কবির কামাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবদল সভাপতি মহসিন হোসেন বিদুৎ, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, মহিলা দলের সভাপতি উম্মে ছালমা মায়া, জেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান মিলন, কৃষক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম আপেল, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাসির, ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও যুবদল নেতা আব্দুল রউফ ফকির রনি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, পুলিশ শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আকঁড়ে রাখতে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। বিগত আন্দোলনে কতজন ছাত্র জনতা প্রাণ হারিয়েছে তার প্রকৃত হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। আর কত জন যে আহত হয়েছে তার অন্ত নেই। আহত হয়ে তারা যে কি অবস্থায় আছেন আমরা হয়তো অনেকই তাদের খোঁজ রাখি না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে নিহত ও আহতদের বাড়িতে যাচ্ছি এবং তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিগত আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে। আমি বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, এই সকল হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তারা যেন আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে না যায, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রকৃত দোষীরা যদি ছাড় পায় শহীদদের পরিবার শান্তি পাবে না। তাদের মধ্যে একটা ক্ষোভ বিরাজ করবে।
তিনি আহতদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করার জন্য জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে একটি মেডিকেল ক্যাম্প গঠনের পরামর্শ দেন।
এর আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিগত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে তাদের বাড়িতে যান। তারেক রহমানের পক্ষল প্রতিটি পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও এক লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। রবিবার বিএনপির পক্ষ থেকে জেলার মোট ১২ জন নিহত ও আহতের পরিবারের মধ্যে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।