শরীফ ইকবাল রাসেল: বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী বিদেশে যাচ্ছেন তাদের ২২ ভাগ যাচ্ছেন রিক্রোটিং এজেন্সির মাধ্যমে, ৩৭ ভাগ যাচ্ছেন সাব এজেন্ট বা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে এবং বাকি ৪১ ভাগ কাদের মাধ্যমে বিদেশ যাচ্ছেন তা তারা জানেনা। ‘স্ট্রেংদেন্ড এন্ড ইনফরমেটিভ মাইগ্রেশন সিস্টেমস্ (সিমস্)’ প্রকল্পের আওতায় বিদেশগামী, বিদেশ ফেরত ও হয়রানীর শিকার অভিবাসীদের মধ্যে ১১৩ জন অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বিষয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি।
এ সকল বিষয়ে জনগনকে সচেতন করতে ও অভিবাসীদের জন্য আলাদা সেল গঠনের দাবিতে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি।
এরই লক্ষ্যে গত ২৬ অক্টোবর নরসিংদী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল জাকীর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা লিগেল এইড কর্মকর্তা এলিছ জাহান, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতির সভানেত্রী সালমা আলী, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হক, নরসিংদী কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নাবিলা নুজাত, সিমস প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাফাতুর রহমান রুবা, মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ফেরদৌস নিগার, আইনজীবী এড. শিরিন আকতার, প্রকল্প কর্মকর্তা হানিফ মাহমুদ।
এসময় নরসিংদী জেলা সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী মিজাুনর রহমানসহ বিভিন্ন এনজিওকর্মী, ক্ষতিগ্রস্থ অভিবাসী পরিবার ও সচেতন মহল উপস্থিত ছিলেন।
অভিবাসী কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন ও ন্যায় বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে হেলভেটাস বাংলাদেশের সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এই কর্মশালার আয়োজন করে।