বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চরম পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন না। অতীতের রেকর্ড পর্যালোচনা করলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি ঘটনাও পাওয়া যাবে না। দেশের সামরিক বাহিনী নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি শনিবার একথা বলেন। ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্সের উদ্বোধন ও রেমিট্যান্স পদক প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর এনআরবি।
সেনাপ্রধান বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের সৈন্যরা হামলার শিকার হলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা নির্মম আচরণ করেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কিছু কিছু দেশে নৃশংসভাবে গুলি চালানো হয়। তাতে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যায়। তারা মানবাধিকারকে তোয়াক্কা করেন না। কিন্তু বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা দেশ-বিদেশে যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন, সুনাম কুড়িয়েছে। এভাবেই আমরা বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করেছি।
জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে। এখন সাড়ে ৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি এ কার্যক্রমে রয়েছেন। এ অর্জন এমনি এমনি আসেনি। বিপুল আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ তা অর্জন করেছে। দেশেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জাতি গঠন এবং নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করি আমরা। সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কার্যকরভাবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে প্রয়োগ করেন। নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে।
সংগঠনের চেয়ারপারসন এমএস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শহীদুল আলম প্রমুখ।