স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে এক যুবতীকে (২২) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে । এছাড়া ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে ভুক্তভোগীর কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে ধর্ষিতা ওই যুবতী কৌশলে পালিয়ে এসে নরসিংদীর সাংবাদিকদের একটি সংগঠনের কাছে তার সাথে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেন।
পরে বিকেলে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকার মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে ধর্ষক আল আমিনকে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নরসিংদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতা বলেন, বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় আমার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য নরসিংদী সদর উপজেলা মোড়ে পৌঁছি। সেখান থেকে আল-আমিন (৩৫), আলামিন, হৃদয় ও আরও অজ্ঞাত একজনসহ মোট চারজন মিলে আমার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয়। সেখান থেকে আমাকে নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকায় মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে আমাকে শারীরিক মেলামেশা করতে বলে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আল- আমিন আমাকে প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতন করে টানা ২ দিন বদ্ধ ঘরে আটকে রেখে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। আমি তার পাশবিকতা থেকে রক্ষা পেতে ডাক চিৎকার করলেও বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় কেউ এগিয়ে আসেনি। সে বাইরে চলে গেলে আজ ভোর ৭ টার দিকে আমি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসি।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাইরে আছেন বলে জানান। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে এজাহার তৈরির পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাসহ যাবতীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভিকটিমকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাসহ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের পাওয়া যায়নি। তবে আসামিদের ধরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।'