
হলধর দাস : নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানা এলাকা থেকে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে স্বামী—স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন । শনিবার দুপুরে শেখেরচর(বাবুরহাট) বাজারের তিনতলা একটি ভবনের কার্ণিশ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্বামী রাজু মিয়ার (৩৮) মরদেহ ।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুসাইর গ্রামে নিজগৃহ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো স্ত্রী মানছুরা বেগম (২৫) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মহিষাশুরা ইউনিয়নের বালুসাইর এলাকার রাজু মিয়া এবং মানছুরা বেগমের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরেই রাজু মিয়া মাদকাসক্ত হওয়ায় পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। ধারণা করা হচ্ছে স্বামী—স্ত্রীর কলহের জের ধরেই শুক্রবার স্ত্রী মানছুরা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় স্বামী।
খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। স্ত্রীকে হত্যার পর থেকেই স্বামী রাজু মিয়া পলাতক ছিলো। শনিবার (১৯.৪.২০২৫) সকাল ১১ টার দিকে পাশ^র্বর্তী বাবুরহাট ধুমকেতু মাঠ সংলগ্ন একটি তিনতলা ভবনের কার্ণিশে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজু মিয়ার মরদেহ দেখতে পায় বাজারের ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী নিজেই আত্মহত্যা করেছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ওই নারীর নিজ বসত ঘরের দরজার তালা ভেঙে ওড়না পেচানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় তার স্বজনরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে শেখেরচর—বাবুরহাট এলাকা থেকে রাজু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে শেখেরচর ফাঁড়ি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া স্বামী আত্মহত্যা করেছে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।