শেখ মানিক
সৌদিআরবের রিয়াদে সন্তানের লাশ, বারিতে মা-বাবার আহাজারি। ছেলের মরদেহ তার কোলে ফিরিয়ে আনতে সবার কাছে আকুতি করছেন শ্যামল ভূঁইয়ার বৃদ্ধা মা বাবা। কেঁদে কেঁদে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। কারও সাথে কথাও বলছেন না। ঘুম খাওয়া সব যেন হারাম। ১১ দিন ধরে থেমে থেমে কান্নায়-বিলাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। এমনই এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের দত্তেরগাঁও পশ্চিম পাড়া ফজলুল হক (ছাও) ভূঁইয়ার ছেলে প্রবাসী শ্যামল ভূঁইয়ার বাড়িতে।
এদিকে নিহত হওয়ার খবর আসার পর থেকে এই পরিবারকে কে, কী বলে তাদের সান্ত্বনা দেবেন, ভাষা জানা নেই স্বজনসহ প্রতিবেশীদের। কারণ, অভাব অনটনের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ধার-দেনা ও সুদে টাকা নিয়ে চার লক্ষ টাকায় স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়ে কর্মস্থলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনায় মারা গেছে সে। তার সকল পাওনা ও ক্ষতিপূরণসহ মরদেহটি দেশে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান নিহতের পরিবার।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সংসারের অভাব ঘোচাতে অল্প বয়সেই স্থানীয় দালালের মাধ্যমে ধার দেনা ও সুদে টাকা নিয়ে ৪ লাখ টাকায় তিন বছর ছয় মাস আগে শ্যামল ভূঁইয়া সৌদি আরবে যায়। সৌদি আরব রিয়াদে পাথর কাটা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ দেয়। সেখানে প্রথম ছয় মাসে বেতন দেয় নি। এখন পর্যন্ত যা টাকা পাঠিয়েছে তা দিয়ে এখনো ঋণ শোধ করা হয়নি। আর এরই মাঝে তাঁর মৃত্যুর খবর চলে আসছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।