হলধরদাস: প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মুজিববর্ষে তৃতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন নরসিংদীর ২৫৬টি পরিবারসহ দেশব্যাপী ২৬,২২৯টি পরিবারকে ২১ জুলাই জমিসহ গৃহ প্রদান করা হবে।
এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার(২০জুলাই) নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খাঁন তাঁর সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন। প্রেস ব্রিফিং-এ জেলা প্রশাসক গৃহ ও ঘর বিতরণের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মাসুম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম ইবনুল হাসান ইভেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ) শ্যামল চন্দ্র বসাক প্রমুখ।
প্রেস ব্রিফিংক-এ জেলা প্রশাসক বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় পর্যায়ে নরসিংদী জেলায় ২৫৬টি পরিবারসহ দেশব্যাপী জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
এবারের ২৫৬টি ঘরের মধ্যে রায়পুরা উপজেলায় ৩৭টি (এর মধ্যে হাইরমারা ইউনিয়নে ২৪টি, পলাশতলী ইউনিয়নে ০৭টি ও মহেষপুর ইউনিয়নে ০৬টি), শিবপুর উপজেলায় ২৯টি (এর মধ্যে পুটিয়া ইউনিয়নে ১০টি, সাধারচর ইউনিয়নে ০৭টি ও দুলালপুর ইউনিয়নে ১২টি), পলাশ উপজেলায় ৪২টি (এর মধ্যে চরসিন্দুর ইউনিয়নে ২০টি ও ডাঙ্গা ইউনিয়নে ২২টি), মনোহরদী ইউনিয়নে ১০৪টি (এর মধ্যে খিদিরপুর ইউনিয়নে ২৭টি, চরমান্দালিয়া ইউনিয়নে ২৮টি, শুকুন্দি ইউনিয়নে ১০টি, চালাকচর ইউনিয়নে ০৬টি, দৌলতপুর ইউনিয়নে ১০টি, বড়চাপা ইউনিয়নে ২০টি ও কাচিকাটা ইউনিয়নে ০৮টি) এবং বেলাব উপজেলায় ৪৪টি (এর মধ্যে পাটুলি ইউনিয়নে ১৪টি ও বেলাব ইউনিয়নে ৩০টি) গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
এসকল ঘরে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক, দলিত ও হরিজন, চর্মকার (মুচি), প্রতিবন্ধী, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙ্গন কবলিত পরিবার, কৃষি জমি ও বাস্তুভিটাহীন পরিবারকে পূনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে।
“বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”- প্রধানমন্ত্রীর এই দৃঢ় প্রত্যয়ের সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুজিব বর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সারা দেশের ন্যায় নরসিংদীতেও এ কার্যক্রম অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। নরসিংদী জেলায় এ কার্যক্রমের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ২৮৭টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় আরো ৪১৯টি ঘর নির্মাণের অনমোদন পাওয়া গেছে।