শরীফ ইকবাল রাসেল: “অভিবাসীর অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বাস্তবায়নে জনমত তৈরীতে নরসিংদীতে স্বাক্ষরতা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সিম্স প্রকল্পের আওতায় রোববার (২২ আগস্ট) নরসিংদী কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
নরসিংদী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নাবিলা নুঝাত এর সভাপতিত্বে জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক এতে প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও সিম্স প্রকল্পের প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট ফেরদৌস নিগার, ওকাপ নরসিংদী সমন্বয়কারী রত্না সরকার ও বিদেশ ফেরত গোলাম মোস্তফাসহ আরো অনেকে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা হেলভেটাস বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় ও সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত “স্ট্রেংদেনড্ এন্ড ইনফরমেটিভ মাইগ্রেশন সিস্টেমস্ (সিম্স)” শীর্ষক প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি অভিবাসী কর্মীদের অধিকার ও প্রতিকার প্রাপ্তিতে আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সহযোগি সংস্থা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিএমইটি এর অধীনে সালিষ সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা কোন সেল নেই। যারফলে ভুক্তভোগী অভিবাসী কর্মীদের ন্যায্য অধিকার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। গবেষণার অংশ হিসাবে কয়েকজন বিদেশ ফেরত ভুক্তভোগী অভিবাসী কর্মী জানান “বিএমইটি এর অধীনে সালিসের জন্য আলাদা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সেল বা লোকবল থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত সেবা পাওয়া সম্ভব হতো।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দক্ষ হয়ে বিদেশ যাওয়া ও অভিবাসী কর্মীদের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে বা প্রতিকার প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা প্রমানাদী সংরক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকার অভিবাসী কর্মীদের অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। সুতরাং অভিবাসীদেরও উচিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে এবং প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে বিদেশ যাওয়া যাতে করে তারা কেউ বিদেশে গিয়ে বিপদে না পড়েন।