নিজস্ব প্রতিনিধি: নরসিংদীতে ছাত্রদলের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুলের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের বড় ভাই ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ছাত্রদল করতে গিয়ে নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবীর খোকনের লোকজনের হাতে গত ২৫ মে বিকেলে গুলিতে নিহত হয় সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল।
নিহতের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোন শোক বিবৃতি না দিয়ে বিপরীত বিবৃতি দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের সদস্যরা। এসময় নরসিংদীতে দু-ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় খায়রুল কবীর খোকনকে দল থেকে বহিস্কতারেরও দাবী জানানো হয়।
গত ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেলে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাদেকুর রহমান (৩২) ও সাটিরপাড়া সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল ইসলামের ছেলে ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম (২০)।
এই ঘটনায় নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রিয় স্বিনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
জেলা যুবদলের আহবায়ক মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎসহ মামলার ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জাগোনরসিংদী/রাসেল