• নরসিংদী
  • রবিবার, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  রবিবার, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

শিবপুরে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৩ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৪৪ এএম
শিবপুরে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়

নিজস্ব প্রতিনিধি:  নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিনের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেশ কয়েকজন মৎস্য চাষি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।

ফাহিমুল আরেফিন শিবপুর উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকেই ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ, এনএটিপি-২, উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারি স্থাপন, পুকুর খননসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাৎসরিক বরাদ্দের অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মৎস্য চাষিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন সেবা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এরমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে মাছের প্রকারভেদে বরাদ্দ ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা হলেও তাদেরকে ১২/১৩ হাজার টাকা ও ৪/৫ বস্তা মাছের খাদ্য দেয়া হয়েছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারী প্রকল্পের ৩ জনও সঠিক বরাদ্দ পায়নি, এনএটিপি ২ প্রকল্পের ৯ টি ইউনিয়নের ১৮ জন সিআইজি প্রদর্শনীর মাঝে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও চার বস্তা খাদ্য ও চার থেকে সাড়ে চার হাজার করে টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এসব প্রকল্পের চাষিরা।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, স্থানীয় মাছিমপুর  বালিয়াহানি গ্রামে ইউনিয়ন প্রদর্শনী বরাদ্দ দিলেও এই নামে কোনো গ্রাম সেখানে নেই। এছাড়াও একই পরিবারের মাঝে তিনটি প্রকল্পের বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

চক্রধা ইউনিয়ন সেবা প্রকল্পের মৎস্য চাষি লাকুশি গ্রামের বাবুল মিয়া জানান, তিনি শিং ও কই মাছের একটি প্রদর্শনী বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রকল্পের বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকা হলেও তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার টাকা এবং ৫ বস্তা মাছের খাদ্য যার বাজার মূল্য সাড়ে সাত হাজার টাকা।

বাঘাব ইউনিয়ন সেবা প্রকল্পের চাষি পাচপাইকা গ্রামের মোখলেছুর রহমান বলেন, পাংগাশ মাছের প্রদর্শনী বরাদ্দ ৫০ হাজারের মধ্যে ১৩ হাজার টাকা ও ৫ বস্তা খাদ্য পেয়েছেন। এতো কম টাকা কেনো দেয়া হলো জানতে চাইলে বাকি টাকা অফিসে খরচ হয়েছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা।

উপজেলা মৎস্য প্রডিউসার অর্গানাইজেশন সমবায় সমিতির সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, 'বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ সঠিকভাবে পায়না বলে চাষিরা আমার কাছেও বলেছেন। সঠিক বরাদ্দ না পাওয়ায় মাছ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষিরা। শিবপুর উপজেলা মৎস্য উৎপাদনে অন্যতম হলেও মৎস্য কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক বরাদ্দ ও পরামর্শের মাধ্যমে মৎস্যচাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।'

এবিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিনের সাথে  যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'মৎস্য চাষিদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ   মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।'

নরসিংদীর খবর বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ