স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের সমর্থকদের সাথে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধায়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় পক্ষের ৫/৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়। হামলা চলাকালে খায়রুল কবির খোকন পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলার গ্রামীণ হোটেলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
শিবপুর থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খায়রুল কবির খোকন রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. একে নেছার উদ্দিন এর জানাজায় যাওয়ার পথে ইটাখোলাস্থ গ্রামীণ হোটেলের সামনে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা ফাহিম অভি ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা হোটেলের পাশে গ্যাস নিতে যায়।
এসময় নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবীতে তার গাড়ীর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
এক পর্যায়ে খায়রুল কবির খোকনের সমর্থক ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটলে খায়রুল কবির খোকন পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়েন।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার জানান, 'আহত ফাহিম ও মাহিদুল হামলার ঘটনায় খায়রুল কবির খোকনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় শুভ নামে একজনকে বিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।'
খায়রুল কবির খোকনের সাথে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মন্জুর এলাহীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'এ ঘটনার বিষয় আমি লোকমুখে শুনেছি তবে এবিষয়ে এখনও খোন ভাইয়ের সাথে কোন কথা হয়নি।'
এদিকে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সন্ধ্যার পর নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, খায়রুল কবির খোকন আমাদের অভিভাবক তাই তিনি আমাদের উপর গুলি ছুড়তে পারেন না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদন তিনি যেন বিষয়টি আমলে নিয়ে এর সুষ্ঠু সমাধান করেন। পাশাপাশি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে যোগ্য, দক্ষ ও মেধাবী এবং ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি পুনর্ঠনের আহ্বান জানান তারা।
জাগো নরসিংদী/শহজু