স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস গৌরবের। আর এই জাতীয় পতাকাকে নরসিংদীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত অবমাননা করা হচ্ছে। নরসিংদী শহরতলীর ঘোড়াদিয়া (সঙ্গীতা মোড়) এলাকার এ আর টি টি স্কুল এন্ড কলেজ নামক প্রতিষ্ঠানটিতে রাতদিন ২৪ ঘন্টা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে এর অবমাননা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া এলাকার সঙ্গীতা-গাবতলী সড়কে কয়েক বছর পূর্বে এ আর টি টি স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে যেদিন প্রথম জাতীয় পতাকা উড়ানো হয় এর পর থেকে তা আর নামানো হয়নি। এতে করে অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত অবমাননার শিকার হচ্ছে দেশের গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক সেই লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।
১৯৭২ সালে প্রণীত ৩ ও ৪ ধারায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী জাতীয় পতাকার মাপ, রং কেমন হবে এবং কখন কোথায় এটি কি নিয়মে উড়াতে হবে তা বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞাত থাকলেও তাদের নিজেদের খামখেয়ালিপনায় দেশের জাতীয় পতাকাকে এভাবে অবমাননা করে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকই বলেন, "আসলে সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানোর সময়সীমা,তা বোধ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ জানেই না। তা না হলে স্কুলে দিনের পর দিনে কি করে ২৪ ঘন্টা জাতীয় পতাকা উড়ে।"
এসময় আরেকজন এলাকাবাসী বলে উঠলেন, "সাংবাদিক সাব কঠিন কইর্যা একটা নিউজ লেইখেন, হেগো উচিৎ বিচার অহওন দরকার।"
জাতীয় পতাকার অবমাননা করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করলে ওই ব্যক্তিকে ২০১০ সালের ২০ জুলাই প্রণীত আইন অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে দেওয়া নাম্বারে ফোন দিলে হামিদুর রহমান এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করে, এ আর টি টি স্কুল এন্ড কলেজ'র কোন দায়িত্বে আছে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছে। পরে তার প্রতিষ্ঠানে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা পতাকা উড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হচ্ছে- উত্তরে তিনি বলেন ভুল হয়েছে আর হবে না। " এ ভুল আজ নয় প্রতিদিনই হচ্ছে। আপনার স্কুলে পতাকা উড়ানোর পর তা আর নামানো হয়নি এলাকাবাসী এমনটাই জানিয়েছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, "আমার কোন বক্তব্য নাই।"