স্টাফ রিপোর্টার: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে গুম, হামলা মামলা শিকার হওয়া নরসিংদী জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ এবার অপপ্রচারে শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় নরসিংদী বিএনপির কার্যালয়ে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মিথ্যা-ভিত্তিহীন এই অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নরসিংদী জেলা ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিফাত।
এসময় উপস্থিত ছিলো নরসিংদী জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, জেলা ছাত্রদল ছাত্রনেতা ইবনে আদেল শশী, সজীব পাল জুম্মন, এডভোকেট মনির, সাইফুল বিন মিয়াজ, মইনুল হোসেন তৌসিফ, মুজাহিদুল ইসলাম পিয়াস, শাহেদ ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সহ দপ্তর সম্পাদক আফজাল হোসেন মোল্লা ও তৌফিকুল ইসলাম প্রত্যয় প্রধানসহ জেলা ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে মেহেদী হাসান রিফাত বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা নামক দুটি ফেসবুক পেজ থেকে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-ভিত্তিহীন ও অবাস্তর পোস্টের মাধ্যমে অপপ্রচার চালােনা হচ্ছে। এই সব পোস্টের কোন সত্যতা নেই জানিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত চার দিন পূর্বে "দেশরত্ন শেখ হাসিনা" নামক ফেসবুক আইডি দিয়েও মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়।সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে একই পোস্ট গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্ট বার পোস্ট করা হয় না। কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তার দলের কাছে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ এতটাই ভীতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেওয়া মিথ্যা অপপ্রচারমূলক পোস্টটি আজ (মঙ্গলবার) পূণরায় দেওয়া হয়।
জেলা ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক লিখিত বক্তব্যে আারও বলেন, আওয়ামী লীগের যড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে বিগত পনেরো বছরের শাসন আমলে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের উপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালানো হয়। ৩৫ টি রাজনৈতিক মামলা, ছয়বার কারা নির্যাতন ও সাড়ে আট মাসের গুমের শিকার হতে হয়েছে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে। পতনের পূর্বে সর্বশেষ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা ও কারানির্যাতনের জন্য সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ তার আপন বড় ভাই ও মায়ের জানাজা ও দাফনে উপস্থিত থাকতে পারেনি ।
তিনি বলেন, জুলাই আগস্টের সরকার পতনের আন্দোলনে মাধবদী পৌরসভা ছাত্রদল কর্মী শাওন হত্যা মামলায় বাদী অলিউল্লাহ কে বাসা থেকে তুলে এনে শেখ হাসিনা সহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মামলা প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হয়। এসময় বাদীকে উদ্ধার করে যড়যন্ত্র প্রতিরোধের ঘটনায় সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ আওয়ামী লীগ এর চক্ষুশূল পরিণত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন, ভাবমূর্তি নষ্ট সহ ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদেরর ব্যাক্তিগত ছবি এডিটিং করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এসময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সাটিরপাড়া কালী কুমার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেই আমি। সেখানে তোলা আমারিএকটি ছবি এডিট করে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যেটিতে এআই টেকনোলজির মাধ্যমে আমার কোমরে পিস্তল সাদৃশ্য বস্তু দেখানো হয়েছে। বিজয় দিবসের ওই অনুষ্ঠানে ছবি ও ভিডিও ক্লীপ আমাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে যা দেখলে বিষয়টি পরিস্কার হবে। বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ভূয়া হওয়ায় এব্যাপারে আমরা থানায় জিডি করেছি। সেই সাথে জাতীয়বাদী আইনজীবি ফোরামের সাথে আলাপ আলোচনা করে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ছাড়াও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন ও সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী এই বিষয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জ্ঞাপন করেন তারা ।
.jpeg.webp "বাউল মেলা। ছবি সংগৃহীত")