স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস যদি দেখা তবে সেখানে শেখ পরিবারে কোন অবদান নেই। আওয়ামী লীগের নেতাদের থাকতে পারে। ওই পরিবারের লোকজনের দেশপ্রেম নেই। আছে শুধু টাকার, অন্যের বাড়ী-ঘর দখলের প্রেম ও অন্যের স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার প্রেম। বর্তমানে তাদের এসব কুকৃর্তি এখন বের হচ্ছে। তবে এসব আমার বানানো কোন কথা নয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নরসিংদীর চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে 'আমরা বিএনপি পরিবার'র উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নরসিংদীর প্রথম শহীদ তাহমিদের পরিবারকে অনুদান প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার আনুপাতিক হারে যে নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছে তা কখনেই বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ব্যবস্থা থাকতে পারে। কিন্তু এটি আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। এই ব্যবস্থায় কেবল একটি মহলের বিশেষ সুবিধা তৈরী হবে। স্বৈরাচারী আ'লীগ যদি আবার কখনও ক্ষমতায় আসে তবে বাংলাদেশ কশাইখানায় পরিনত হবে। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশের ১১ কোটি মানুষের ভোটার তথ্য বিক্রির পাশাপাশি ঋন করা ১৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকাই বিদেশে পাচার করেছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বিচারের ধার ধারে না। তারা আইনের শাসনের পরোয়া করে না। ওরা মনে করে, যারা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করে, তারা প্রত্যেকে অপরাধী। যারা শেখ হাসিনার বিরোধিতা করে তারা প্রত্যেকে অপরাধী। ৭২-৭৫ এ তারা মনে করতো মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রধানমন্ত্রী, তার বিরোধীতা করা মানেই অপরাধ। এই কারনে অপরাধের শাস্তি হিসেবে তারা কোর্ট কাচারিতে যাওয়াকে পছন্দ করতো না। ধরবে-মারবে-কাটবে এটাই ছিলো আওয়ামীলীগের নীতি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ লুট করেন, আমরা তৈরী করি, তারা পাচার করেন, আমরা সংরক্ষন করি। বিএনপির আমলে দেশে এত টাকা পাচার হয়নি। সাধারণ মানুষ যেনো তাদের আয় অনুযায়ী খেতে পারে এজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি আপনারা বাজার নিয়ন্ত্রন করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায় খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর সঞ্চালনায় এসময অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, বিজি রশিদ নওশেরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দুপুরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজালে জেলার অন্যতম সমন্বয়ক ও ছাত্রদল কর্মী জুনাইদের পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদান তুলে দেন। পরে মরজাল বাসস্ট্যান্ডে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। মরজাল থেকে নরসিংদী আসার পথে ইটা খোলায় একজন পথসভায়ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।