স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মনতলা মধ্যপাড়া গ্রামের প্রয়াত ছায়েব আলীর পুত্র দিন মজুর অসহায় হানিফা প্রতিবেশী সন্ত্রাসীদের অত্যাচার-নির্যাতনে পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলা করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজনরাও এখন আতংকগ্রস্থ।
লিখিত অভিযোগে দিন মজুর হানিফা বলেন, " আমি অন্যের বাড়ীতে কাজ করিয়া খাই। সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক আমার জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা নিতে চায়। বাঁধা দিলে তারা আক্রমন করে এবং গাছ গাছালি কেটে ফেলে। আমাকে ও আমার পুত্রকে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করে। এমন কার্যকলাপের কারনে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মনোহরদী সি, আর ৫৫০/২০২৪ নং মোকদ্দমা দায়ের করি। যাহা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
বিজ্ঞ বিচারক মনোহরদী থানার ওসি
মহোদয়কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আমাদেরকে দেখতে আমার শ্যালক আসাদ মিয়া মটর সাইকেল নিয়া আমার বাড়ী পৌঁছলে বিবাদীরা আসাদের মটর সাইকেলটি জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
বর্তমানে স্ত্রী, পুত্র-কন্যা নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারছি না। আমাকে ও আমার ছেলেকে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থা থেকে স্থানীয় কাজল
মেম্বার আমাদের বাধন মুক্ত করে। আমার মেয়ে কলেজে পড়ে। বিবাদীগন প্রকাশ্যে হুমকী দিচ্ছে, আমার দায়ের করা মামলা উঠিয়ে না নিলে গ্রামে-বাড়ীতে যেতে দিবে না। বর্তমানে আমি অন্যের বাড়িতে অতি গোপনে বসবাস করি। আমার কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে বিবাদীগন যে কোন সময় আক্রমন করতে পারে। পরিবারের সদস্যদেরও আক্রমন করতে পারে। বিবাদীরা আরও বলে যে, রাতে ঘরে থাকলে আগুন দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে পুরিয়ে শেষ করে দিবে। আমার সাথে থাকা জায়গা জমির কাগজপত্র বিবাদীগন ছিনাইয়া নিয়া যায়। বিবাদীগনের মধ্যে পূর্বে আপোষ মিমাংসা হইয়াছিল। বিবাদীগন আপোষ মিমাংসার কাগজপত্রও নিয়া যায় বিবাদীরা।
একই এলাকার সন্ত্রাসী বিবাদীরা হলো -১। রফিকুল (৪৫), পিতা- সুন্দর আলী, ২। আসাদ মিয়া (৫০), পিতা- সায়েদ মিয়া, ৩। হিমেল (৩২), পিতা- হামিদ মিয়া, ৪। আবুল হোসেন (৩০), পিতা- আঃ মান্নান, ৫। বাচ্চু মিয়া (২৮), পিতা- আচ্ছিল মিয়া, ৬। মিজান (২২), পিতা- আলাল উদ্দিন, ৭। রাসেল মিয়া (২৫), পিতা- রেনু মিয়া, ৮। শাহিন মিয়া (২৬), পিতা- রফিকুল, ৯। রাব্বি মিয়া (২২), পিতা- রফিকুল, ১০। তুহিন (২১), পিতা- রফিকুল, ১১। জুবায়ের (২০), পিতা- হাবিজু, ১২। জজ মিয়া (২৫), পিতা- সুন্দর আলী, ১৩। ছাব্বির (২০), পিতা- মানিক মিয়া, ১৪। কাদির (৫০), পিতা- আঃ আজিজ, ১৫। সালাউদ্দিন (৩০), পিতা- মেইজ উদ্দিন, ১৬। রবি (৫০), পিতা- তাহের উদ্দিন, ১৭। হোসেনা (২০), পিতা- কালাম, ১৮। কাউছার (২২), পিতা- আতাব উদ্দিন, ১৯। বাবু মিয়া (২০), পিতা- জালাল উদ্দিন, ২০। তৈয়ব (২০), পিতা- মতিউর রহমান, ২১। মুসারফ (২২), পিতা- আলাল উদ্দিন, ২২। সিদ্দিক (৪০), পিতা- বহর উদ্দিন, ২৩। রাবিয়া (৪৫), স্বামী- হাবিজু,।