
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল বলেছেন, আমাদের হাইকমিশনার অফিসে আপনারা অন্যায় ভাবে হামলা করেছেন। জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও চেতনার প্রতীক। এই সার্বভৌমত্ব ও চেতনাকে অবমানননা করা মানে আমাদের হ্নদপিন্ডকে আঘাত করা। মনে রাখবেন হ্নদপিন্ডকে আঘাত করে পাকিস্তানিরা রেহাই পায়নি। ভবিষ্যতে অন্য কেউ যদি বাংলাদেশের হ্নদপিন্ডে আঘাত করতে চায়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষ একাত্তরের চেতনায় ও হাতিয়ারে গর্জে উঠে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছে। শনিবার দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনারে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমানননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাঁনোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি দল যারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করে পাশ্ববর্তী দেশের করদরাজ্য পরিণত করে নিন্দুক দর্জির মত আচরণ করে একজন হামিদ কারজাই সাজতে গিয়েছিলো। তাদের আনুগত্য, বন্ধুত্ব বাংলাদেশের জনগণের সাথে নয়, তাদের আনুগত্য পাশ্ববর্তী দেশের সাথে। তাদের আঙুল ফেলনে তারা বাংলাদেশকে করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন মিশন বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা তাদেরকে এই অন্যায় অপকর্ম করতে আর এক মিনিটও বরদাস্ত করতে পারে না বিধায় জুলাই আগষ্টে নতুন বিপ্লবের সূচনা করেছে।
তিনি আরো বলেন, একটি দলের প্রধান, যিনি নিজেকে দেশের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছে তিনি পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি প্রশ্নবিদ্ধ জায়গায় নিতে চাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেই সুতার নাটাই বাংলাদেশের মাটিতে থাকবে না, বাহিরে থাকবে সেই সুতার টান বাংলাদেশে আমরা ছিন্ন ভিন্ন করে দিবো। যেই ঘুড়ির নাটাই পাশ^বর্তী দেশে থাকবে, সেই ঘুড়িকে আমরা আর বাংলার আকাশে উড়তে দিতে পারি না।
বিক্ষোভ মিছিল ও সভায় উপস্থিত ছিলেন, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আবদুল খালেক, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া মামুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ভিপি মাহমুদুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি একে এম বাছেদ মোল্লা ভূট্টো, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেন্টু ভূইয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নাদিম মাহমুদ বায়েজীদ, যুবদল নেতা সাব্বির আহমেদ, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আলী আকবর, সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক কাজল কমিশনার, সদস্য সচিব হান্নান কমিশনার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহীদুল্লাহ্, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাফি উদ্দিন আকন্দ করুন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব মাহফুজ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাম্মির রহমান টিপু, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য শফিক, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাওন, মহসীন, শাকিল, মোজাহিদ, সোহেল, টিটু, মাহফুজ, হাসেম, পৌর ছাত্রদল নেতা অয়ন, সোহেল, সুমন, মুসা, আরাফাতসহ প্রমুখ।
পরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদ হয়ে আবার বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। এসময় সাধারণ জনগণের মাঝে রাষ্ট্রকাঠামো পরিচালনায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়।