হলধর দাস : সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর-এই লক্ষ্যে সেবার মান যাচাই করতে নরসিংদীর সুশীল সমাজসহ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আদর্শসমূহের প্রতিফলন, সংবিধানের উল্লেখিত প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার ২০১২ সালে “জাতীয় শুদ্ধাচর কৌশলপত্র“ নামে একটি অবশ্য পালনীয় নৈতিকতার কৌশলগত জাতীয় দলিল বা নীতিমালা প্রণয়ন করে।
অর্থাৎ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমষ্টিগত স্বার্থে একটি বৈষম্যহীন, বঞ্চনামুক্ত, গণতান্ত্রিক, মর্যাদাপূর্ণ, দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের আকাক্সক্ষায় রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সকল স্তরে শুদ্ধাচার তথা সৎ, নৈতিক এবং দায়িত্বশীল আচরণ চর্চা প্রতিষ্ঠা করা। সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার সফল প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তা যাচাই বাছাই করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আসাদুল হক সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে নরসিংদী পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে তিনি নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক সুধী সমাবেশে বিভিন্ন প্রশ্ন সম্ভলিত পত্রে শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা যাচাই পত্রের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করেন।
এসময় নরসিংদী সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক হলধর দাস (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক), আজকের খোঁজখবর পত্রিকার সম্পাদক ও নরসিংদী আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মনজিল এ মিল্লাত, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ দাস ও মো: আলতাফ রানা, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিবসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে উপ-সচিব মোহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, সরকারের শুদ্ধাচার কৌশল নরসিংদীতে কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে সাধারণ মানুষ কতটুকু সেবা গ্রহণ করতে পারছে তা যাচাই করতেই আমাকে মন্ত্রণালয় থেকে নরসিংদীতে পাঠানো হয়েছে। এসময় তিনি লিখিতভাবে সুধীজনদের মতামতও গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি নরসিংদী সদর এসিল্যান্ড অফিসে সাধারণ মানুষদের মধ্যে এ জরিপ কার্য পরিচালনা করেন।