হলধর দাস: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন,৭১’এর সেই পরাজিত শক্তি জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন, আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি শুক্রবার(২৬ জুলাই)নরসিংদীর পাঁচদোনায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিতে ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে: কর্ণেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতিক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ৭১’এর নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান, রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার নজরুল ইসলাম, পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, আরব আমিরাতে কতিপয় বাংগালী বাংলাদেশের অনৈতিক আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করায় তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটক করে আইনের আওতায় এনে বিচারে সাজা দেয়া হয়। এতে কেউ ১৩ বছর,কেউ ১২ বছর, কেউ ১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত হয়। আমাদের দেশে বিএনপি জামাত শিবির রাজাকারচক্র ২০১৪,২০১৫ এবং ২০১৮ সালে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল। তখন যদি তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক বিচার করা হতো, তাহলে আজকে এতো সাহস পেতো না।
তাই রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, নরসিংদীর পাঁচদোনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর সাথে নরসিংদীবাসী ঝাপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঙ্গালীকে উজ্জীবিত করেছিল, অনুপ্রাণিত করেছিল পাঁচদোনার মুক্তিযুদ্ধ।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার চাকরী কোটায় মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পাঁচভাগ রেখেছেন তা মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছে। কিন্তু পরিস্কার হওয়া উচিত বাকি পদে কাদের নেয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ কোটা নিয়ে আাদালতের সাথে আইনী প্রক্রিয়ায় বুঝাপড়া করবো। সম্প্রতি দেশে অরাজক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, যারা দেশে তান্ডব চালিয়েছে তারা কখনো ছাত্র হতে পারেনা। তারা ছিলো বিএনপি ও জামায়াত রাজাকারের দল। তারা এই নৈরাজ্য করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিল।
তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, কারন আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সে আঘাত করেছে। তারাই আঘাত করেছে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।
আলোচনা শেষ অতিথিগণ ভাংচুরকৃত মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ও ক্ষতিগ্রস্ত নরসিংদী
জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন।