• নরসিংদী
  • বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

 সুযোগ সন্ধানীদের জয়জয়কার নরসিংদী জেলা বিএনপিতে! 


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৫৪ পিএম
 সুযোগ সন্ধানীদের জয়জয়কার নরসিংদী জেলা বিএনপিতে! 

স্টাফ রিপোর্টার:' বসন্তের কোকিলের মত সুযোগ সন্ধানীদের বিএনপিতে জায়গা হবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। কিন্তু তার এ ঘোষণা নরসিংদীতে বাস্তবায়নে করতে দেখা যাচ্ছে না। বরং বর্তমানে জেলা বিএনপিতে চলছে সুযোগ সন্ধানী ও হাইব্রিটদের জয়জয়কার।

গত ১৮ অক্টোবর বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত সাম্য এবং মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনামূলক যৌথ কর্মীসভায় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সেই ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন 

বসন্তের কোকিলের মত যারা ১০/১২ বছর দলের বাইরে ছিল আবার অনেকেই আ.লীগের সাথে ছিল তাদের আমাদের দরকার নেই। এখন অনেকেই আমাদের দলের মধ্যে ঢুকে, মঞ্চে উঠে ফেসবুকে ছবি ছাড়ছে। এসকল সুযোগ সন্ধানীদের আমাদের দরকার নেই।

যুবদল নেতার এই ঘোষণার কতটা মূল্যায়ন করেছে নরসিংদী জেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা? স্থানীয়রা বলেছেন যুবদল নেতার ওই ঘোষণার ছিটে ফোটাটিও আমলে নেয়নি নরসিংদীর নেতাকর্মীরা। যার প্রমান মেলে সর্বশেষ শনিবার (২ নভেম্বর) নরসিংদী জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চিনিশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভায়। ওই সভায় সাবেক ইউপি সদস্য ও দলিল লিখক জহিরুল ইসলাম জহিরকে নেতাদের সারিতে বসা থাকতে দেখা গেছে। এর আগেও বিএনপির বিভিন্ন সভায় দেখা গেছে। যিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে দলের দোসর হয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে গেছেন। স়্বার্থান্বেসী এই জহিরুল ইসলাম জহির শুধু সুযোগ সুবিধাই ভোগ করেননি এরজন্য প্রাযশ: তাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সভায় বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে  বলেছেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের সম্পদ।যেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ত্যাগী নেতাদের সম্মানী করছে সেখানে নরসিংদীতে সুযোগ সন্ধানী ও হাইব্রিটদের ভীড়ে অপদস্ত হচ্ছেন দু:সময়ের নেতাকর্মীরা যাদেরকে 'দলের সম্পদ' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায় জহিরুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও বিগত কয়েক বছর যাবত দলের কোন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা তাকে যায়নি। নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও ক্ষমতার লোভে তিনি তার দলীয় অবস্থান ভুলে গিয়ে সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথে।শুধু তাই নয় ক্ষমতা আকঁড়ে ধরে রাখতে আওয়ামী লীগে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে। ৫ আগস্টের পর এই সুযোগ সন্ধানী নিজের খোলস পাল্টে ফেলে। তাকে এখন প্রায়ই চিনিশপুর  ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ও জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য আওলাদ হোসেন মোল্লার সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে দেখা যাচ্ছে। 

স্থানীয়রা আরও বলেন, বিগত সময়ে জহিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে থেকে, কি অবস্থায় ছিলেন, কোথায় ছিলেন এবং কি করে ছিলেন সবকিছুই অবগত আছেন চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আওলাদ হোসেন মোল্লা। আগে বসত নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে এখন বসেন আহলাদ মোল্লার সাথে।এতকিছুর পরেও বারবার খোলস পাল্টানো স্বার্থবাদী ওই লোকটাকে কেন কাছে টেনে নিয়েছেন সেটা তিনি নিজেই ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে জহিরুল ইসলাম জহিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,    আমি চিনিশপুর ওয়ার্ড বিএনপির ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বিগত সময়ের বিএনপি প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে আমি অংশ নিয়েছি। এজন্য আমাকে অনেকের  বিএনপি জামাত লোক পর্যন্ত বলতো। 

তাহলে আমি কিভাবে আওয়ামী লীগের লোক হলাম। আর নরসিংদী সদর দলিল লেখক সমিতির আহবায়ক ছিলাম যা আওয়ামিলীগ  নিয়ন্ত্রণ করতো তাই অনেক সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেক কিছু করতে হয়েছে।

এব্যাপারে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাসিরের সাথে তার মোবাইলে (০১৭১১৯৪৯২২৬ এই নাম্বারে) যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আওলাদ হোসেন মোল্লার সাথেও (০১৭৭৫৫৬৩৯১২ এই নাম্বারে) যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকেও পাওয়া যায়নি।

পরে চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'ভাই আমি তো ছোট নেতা এ বিষয়ে জেলার সিনিয়র নেতদের সাথে কথা৷ বললে  তারা তা বলতে পারবে।

রাজনীতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ