হলধর দাস: ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর অঞ্চলের সাব-সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আবদুর রশীদ তারা মাস্টার এর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে প্রয়াতের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বীর আহাম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বিকেল ২টায় মিলাদ মাহফিল, স্মরণসভা ও দরিদ্রভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
আবদুর রশীদ তারা মাস্টার, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে জেলার আশেপাশে ছাত্রদের মাঝে তিনি সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন,অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শোষণ মুক্তির লড়াইয়ে আত্মনিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব।
১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভূত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুর রশীদ তারা মাস্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের কালো রাত্রির পর মনোহরদী থানা এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষের উত্তাল বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে থানা সদরে পাকিস্তানী পতাকা পুড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জয় বাংলার প্রতিধ্বনি চারিদিকে ছড়িয়ে দেন।
১৯৭০ ও ৭২ইং সনে নরসিংদী জেলার মনোহরদী বেলাব আসনে জাতীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচন করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
পরবর্তীতে তিনি শিক্ষকতার পেশায় নিবেদিত হন। তিনি মনোহরদী উপজেলায় ১৯৬২ সালে কপালেশ্বর হাইস্কুল, ১৯৭২ সালে সাগরদি গার্লস হাই স্কুল ও মনোহরদী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়া তিনি খিদিরপুর হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময় ঢাকা বিভাগে সংগঠক হিসেবে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির পাদপীঠ " নীলাচলে কলাবিতান " সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরীনুর রশীদ তুহিন।