নিজস্ব প্রতিনিধি
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পশ্চিমপাড়া শিবপুর-দুলালপুর সড়কের পাশে জমির সীমানা প্রাচীর রাতের আঁধারে অন্যায়ভাবে ভেঙে জবর দখল করার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ক্রয় সূত্রে জমির মালিক পল্লী চিকিৎসক শংকর বর্মন। অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মঞ্জিল তার স্ত্রীকে দিয়ে লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে সীমানা প্রাচীর ভেঙে অস্থায়ী স্থাপনা করে জমি থেকে বেদখল করার চেষ্টা করছে।
মঞ্জিল সরকার উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত আঃ হামিদ সরকারের ছেলে। অভিযোগকারী একই উপজেলার চক্রধা গ্রামের মধুসূধন বর্মনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক শংকর চন্দ্র বর্মন।
শংকর চন্দ্র বর্মন বলেন,আমি ২০১০ সালে সোলেমানের কাছ থেকে ০৩.৬৪ শতাংশ ভিটা ভূমি খরিদ করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। আমার সীমানার পাশ থেকে কিছুদিন পূর্বে আরও ১.১০ শতাংশ জমি মঞ্জিলের কাছে বিক্রি করে সোলেমান। জমি ক্রয় করে মঞ্জিল তার জায়গায় টিনের বেড়া দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করে। এতে করে আমাদের দুজনের কোন সমস্যা হয়নি।
কিন্তু গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের আঁধারে মঞ্জিলের নেতৃত্বে আরো ৫/৬ অজ্ঞাত ব্যক্তির সহযোগীতায় বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার আংশিক জমি বেড়া দিয়ে দখল করে। বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙ্গায় আমার আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন সকালে খবর পেয়ে আমি তাদেরকে বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙ্গার কারন জানতে চাইলে এবং বাধা নিষেধ করলে তারা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও মডেল থানায় লিখিতভাবে অবহিত করি এবং স্থানীয় মাতব্বরদের জানালে তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
কিন্তু অবৈধ দখলকারীরা শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কোন প্রকার সমঝোতা না করেই উক্ত আমার জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান শুরু করে। আমি ও স্থানীয় মাতব্বরগণ একাধিকবার ঘর নির্মানে নিষেধ করলেও মঞ্জিলের স্ত্রী কারো কথার কর্ণপাত না করে আমার জমিতে ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে।
ভোক্তভোগী শংকর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তার খরিদকৃত প্রাপ্য জমি আদায়ের লক্ষ্যে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নির্মাণ কাজের সময় উপস্থিত মঞ্জিলের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার স্বামী সোলেমানের কাছ থেকে ১:১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে।সোলেমান নিজে বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে আমাদেরকে ১:১০ শতাংশ জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে তাই আমি আমাদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করছি। আমি কারোর কথা শুনবো না। নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাবো পরে যা হয় দেখা যাবে!