স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর সহকর্মী আশরাফুল আলম তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষক আশরাফুল আলম ও নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী উভয় একই রেষ্টুরেন্টের কর্মী। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) অভিযুক্ত রেষ্টুরেন্ট কর্মী আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতা ওই তরুণী।
অভিযুক্ত আশরাফুল আলম ওরফে আলম (২৫) নরসিংদী পৌর এলাকার নাগরিয়াকান্দি (ইউএমসি হাইস্কুলের পেছনে) এলাকার মৃত জনি মিয়ার ছেলে ও নাগরিয়াকান্দি শেখ হাসিনা সেতুর পূর্ব পাশের পূর্বাশার আলো নামে একটি রেষ্টুরেন্টের কর্মী।
মামলায় লিখিত এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী উল্লেখ করেন, নাগরিয়াকান্দি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকে সে। মাস দু’য়েক আগে অভিযুক্ত আলম যে রেষ্টুরেন্টে কাজ করে সেখানে কাজ নেয় সে। পূর্বাশার আলো রেষ্টুরেন্টে কাজ নেওয়া পর থেকে সহকর্মী আলম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
ওই তরুণী গত ১৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেস্টুরেন্টের বেকারি কক্ষে বিশ্রাম করতে ঢুকলে আলমও তার পিছু পিছু সেখানে ঢুকে পড়ে। আলম প্রথমে তাকে প্রেম প্রস্তাব দেয় এবং ভালবাসার নানা কথা শোনায়। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আলম তাকে ধর্ষণ করেন।
ওই রাত থেকে আলম তাকে প্রায় সময় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করতো।
সর্বশেষ গত ১৮ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নরসিংদী বাজারের (হাজীপুর স্টীল ব্রিজ সংলগ্ন) হোটেল রিভারভিওতে নিয়ে যায়। সেখানে আলম তাকে আবারও ধর্ষণ করেন।
আলমের নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকায় ওই তরুণী বিষয়টি তার অভিভাবকদের জানান। পরে তাদের পরামর্শে নির্যাতনের শিকার ওই যুবতি নরসিংদী সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'অভিযোগ পেয়ে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অভিযুক্ত আশরাফুল আলমকে আটক করা হয়েছে।'