নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর চরাঞ্চলে এক বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী (২০)কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী বাজারের মদিনা মেডিক্যাল হলের ভিতর এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় রবিবার রাত সাড়ে ৯ টায় ধর্ষিতা তরুণীর ভাই নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ধর্ষক আব্দুর শাক্কু (৪৫)কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আব্দুর শাক্কু আলোকবালি ইউনিয়নের আলোকবালি গ্রামের উত্তর পাড়া মহল্লার মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে। তিনি আলোকবালী ইসলামিয়া সুন্নি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।
অপরদিকে ধর্ষিতা ওই বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী আলোকবালি গ্রামের পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণী শনিবার দুপুর ১টার দিকে আব্দুর শাক্কুরের মালিকানাধীন মদিনা মেডিক্যাল হলের ঔষধ নিতে আসে। দুপুরের সময় বাজার অনেকটা ফাঁকা থাকায় লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষক ওই প্রতিবন্ধী তরুণীকে ঔষধ দেওয়ার ছলে তার দোকানের ভিতরে নিয়ে আসে এবং ধর্ষণ করে।
পরে ওই তরুণী সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। ধর্ষিতার বড় ভাই নায়েস মিয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেকে অবহিত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় ধর্ষক আব্দুল শাক্কুর। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিচারের নামে তালবাহানা করতে থাকলে রবিবার রাত সাড়ে নয়টায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় নায়েস মিয়া অভিযোগ পত্রটি দায়ের করে।
এদিকে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ ধর্ষণের বিষয়টি অবগত হলে এসআই আদনান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আলোকবালি এলাকায় হাজির হয়ে ধর্ষক আব্দুল শাক্কুরকে গ্রেফতার করে এবং ধর্ষিতা ওই তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। তবে ধর্ষক আব্দুল শাক্কুর গ্রেফতারের বিষয়টি রহস্যজনকভাবে এড়িয়ে যায় থানা পুলিশ।
নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ ধর্ষনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনি কেনো এটা জানতে চাইছেন? আমার আসামি গ্রেফতার আছে কিনা বলবো কেনো? এই প্রতিবেদক সাংবাদিকরা পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পায় জানালে তিনি বলেন, 'আমি এই ব্যাপারে জানিনা।'