হলধর দাস: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতা বিরোধী কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্ভাসনি দিয়েছে এবং তারা এদেশে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা হিংসা, প্রতিহিংসা, লুটপাট, অত্যাচার, ঝুলুম, নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে রামরাজত্ব কায়েম করেছিল। মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটের অধিকার ব্যতিরেখে কোনো দেশে গণতন্ত্র হতে পারে না। তারা মনে করেছিল এদেশটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি । এটা হতে পারেনা, এ দেশটির মালিক হচ্ছে দেশের আঠারো কোটি মানুষ। এই এঠারো কোটি মানুষ তাদের কথাবলার ও ভোটের অধীকার তারা ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।
তিনি শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও আহত-নিহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, অন্তর্বর্তীকালী সরকার হিসেবে নিশ্চয় তারা কিছু সংস্কার করবে এবং তারা কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানই এবং তাদের সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিবো। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেই সংস্কারগুলোই করা হবে, যে সংস্কারগুলো অত্যাবশ্যক।
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযেগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা এবং নাহিদের পরিবারকে দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার অর্থ তুলে দেয়া হয়।