স্টাফরিপোর্টার: গত ৫ বছর যাবত নিখোঁজ ৪ ছাত্রলীগ নেতা। দীর্ঘ ৫ বছরেও তাদের কোনো সন্ধান মিলেনি। পরিবারের দাবি, পাঁচ বছর আগে তাদেরকে তুলে নেয় পুলিশ পরিচয়ে। এরপর থেকে তাদেরকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৎকালীন সহসভাপতি রুপ মিয়া (মেস্বার), ক্রীড়া সম্পাদক হাবিব মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা।
তাদের সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছে তাদের স্বজন ও এলাকাবাসী। আজ (২৬ মে) দুপুরে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী।
গত ৫ বছর আগে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন এই চার নেতাকে পুলিশ পরিচয়ে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি স্বজনদের।
মানববন্ধনে স্বজনরা বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ মে বিকেলে বালুয়াকান্দি গ্রাম থেকে আওয়ামীলীগ নেতা রুপ মিয়া ও যুবলীগ নেতা আজিজুল এবং বাঁশগাড়ি গ্রাম থেকে আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব ও জাকির হোসেনকে ধরে নিয়ে যায় রায়পুরা থানা পুলিশ।
পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয় বাঁশগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখান থেকে রাতে থানায় নেয়া হয়েছে বলে জানতে পারলেও পরদিন থানা ও আদালতে তাদের খোঁজ মেলেনি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিখোঁজ আজিজুল ইসলামের মা নুরজাজান বেগম, নিখোঁজ রুপ মিয়ার ভাতিজা মাইন উদ্দিন, হাবিব মেম্বারের বড় ভাই সফিয়ত উল্লাহ প্রমুখ।
নিখোঁজ হাবিব মেম্বারের বড় ভাই সফিয়ত উল্লাহ বলেন, 'বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে আসা স্থানীয় হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে প্রয়াত সিরাজুল হক ও তার সমর্থকরা মিলে পুলিশকে টাকা নিয়ে ম্যানেজ করে গুম করিয়েছে। আমার ভাইকে ফেরত চাই।'
আজিজুল ইসলামের বড় ভাই হরুন মিয়া বলেন, 'আমার ভাইকে গুম করার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরের ২০ তারিখ আমাকেও বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। নরসিংদী সদর টু মদনগঞ্জ রোডে নিয়ে রাতের আঁধারে পায়ে গুলি করে পুলিশ নিজেই হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে আমাকে অস্ত্র মামলা দিয়েছে। তখন আড়াই মাস জেল খেটেছি আমি। আমি আমার ভাইয়ের খোঁজ চাই।'
মানববন্ধনে অভিন্ন বক্তব্য রাখেন সকল স্বজনরা। সবাই নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতাদের সন্ধান চেয়ে বক্তব্য রাখেন।